Advertisement
০৭ মে ২০২৪

ছাত্রকে মার, রণক্ষেত্র স্কুল

ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত ছাত্রদের একাংশ স্কুলে ভাঙচুর চালায়। শিক্ষকদেরও পাল্টা মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে হবিবপুর থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৭ ০১:৩৯
Share: Save:

ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক। এই সময় কাগজের বল তৈরি করে খেলছিল এক ছাত্র। আর এরই জেরে তাকে অফিস রুমে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের হবিবপুর ব্লকের গিরিজা সুন্দরী বিদ্যা মন্দির।

ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত ছাত্রদের একাংশ স্কুলে ভাঙচুর চালায়। শিক্ষকদেরও পাল্টা মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে হবিবপুর থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকদের মারে জখম বুলবুলচণ্ডীর ষোলাডাঙা গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্র গৌরব সরকার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত হয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জগদীশ সরকারও। স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় তাঁকে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ একাদশ শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলেন এক শিক্ষক। সেই সময় গৌরব কাগজের টুকরো দিয়ে বল তৈরি করে খেলছিলেন বলে অভিযোগ। উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষক অফিস রুমে নিয়ে যায় ওই ছাত্রকে। তারপরে অন্য আরও দুই শিক্ষক মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের মারে অচৈতন্য হয়ে পড়ে গৌরব। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বুলবুলচন্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে। ছাত্রটির মাথায় ও ডান কানে আঘাত থাকায় তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এরপরেই উত্তেজিত হয়ে ছাত্রদের একাংশ স্কুলে চড়াও হয়। অফিস রুমে ভাঙচুর চালায়। একাধিক শ্রেণি কক্ষে ঢুকে চেয়ার টেবিল ভাঙতে শুরু করে। শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় স্কুলের শিক্ষকরা। ছাত্রদের ছোড়া ইটে বাঁ চোখে আঘাত পান প্রধান শিক্ষক জগদীশ সরকার।

অসুস্থ ছাত্রের বাবা গৌতম সরকার বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে চোরের মতো মারধর করেছে শিক্ষকরা। ওর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। আমরা থানাতে শিক্ষকদের নামে অভিযোগ জানাব।’’ মারধরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন স্কুলের শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষক জগদীশবাবুও বলেন, ‘‘কোনও ছাত্রকে মারধর করা হয়নি। তবে কেন ভাঙচুর করা হল তা জানি না। পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ হবিবপুর ব্লকের বিডিও ফুর্বা দর্জি বলেন,‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Malda Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE