৩৫ হাজার লোককে ডাল-ভাত-ডিমের ঝোল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। উপরন্তু, অন্তত ১৫০০ হাজার জনের থাকার ব্যবস্থা। ৪০ হাজার কাপ চা, সকলের জন্য পর্যাপ্ত জলের বোতল, পাউচ রাখতে হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৬০০ বড় গাড়ি ও ৩০০ ছোট গাড়ির বন্দোবস্তও করতে হবে। তা-ও একবার নয়। দু’মাসে দু-দফায়। তাতেই ঘুম ছুটেছে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেবের। কারণ, দুটি অনুষ্ঠানই হবে শিলিগুড়িতে।
একটির প্রস্তুতি চলছিলই। সেটি হল তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ। যা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয়টি, মানে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশও হবে শিলিগুড়িতে। যে কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শশী পাঁজাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তাই বাজেট ও মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে গৌতমবাবু, সৌরভ চক্রবর্তী-সহ উত্তরবঙ্গের জেলা সভাপতিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকেও বসেন উত্তরবঙ্গের তিন জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। তিনি নির্দেশ দেন, যাবতীয় মতভেদ ভুলে সকলে একযোগে না ঝাঁপালে পরপর দু’টি অনুষ্ঠান সফল করা মুশকিল হবে।
পরে গৌতম বলেন, ‘‘পরপর দুটি বড় মাপের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়েছে শিলিগুড়ি। উত্তরবঙ্গের সব জেলার মানুষ থাকবেন। সে জন্য সকলে মিলেই কাজ করতে হবে।’’ আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি ফিরবেন তিনি। তার পরেই প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করার কথা। তিনি জানান, সমাবশের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
দল সূত্রের খবর, শহরের প্রথম সারি পাঁচটি কেটারার সংস্থাকে ৩৫ হাজার প্লেট রান্নার বরাত দেওয়া হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাজার সম্পূর্ণ করবেন ছাত্র-যুবরাই। সেই রাতেই আনাজ কাটার কাজ করা হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে একযোগে সব কটি কেটারার সংস্থা রান্নার কাজে লেগে পড়বে। শহরে যাতায়াতকারী গাড়ি রাখার জন্য কলেজের মাঠ, রামকৃষ্ণ ব্যায়াম শিক্ষা সঙ্ঘ, হিন্দি স্কুল, সূর্যনগর মাঠ চিহ্নিত হয়েছে। ডেকরেটর, কেটারার, গাড়ি, হোটেল মিলিয়ে খরচ কত হবে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কেউ। দল সূত্রের খবর, দুটি অনুষ্ঠান মিলিয়ে ৪০-৫০ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে ধরা হয়েছে। সে জন্য দলের তরফে কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলাও শুরু হয়েছে বলে নেতাদের দাবি। দলের এক নেতা জানান, তাঁরাও আর্থিক সহযোগিতা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy