গত বছরেই উদ্বোধনের কথা ছিল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যই তা চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে ফের ধর্নায় নামল তৃণমূল। রবিবার জলপাইগুড়ি স্টেশন রোডে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের সামনে ধর্নায় বসেন দলের উত্তরবঙ্গের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার গত বছরেই সার্কিট বেঞ্চের সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র রাজনৈতিক কারণেই এটির অনুমোদন দিচ্ছে না।
রাজ্য সরকারের তরফে এই বেঞ্চের সব ধরনের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে আসছেন। গত ১৭ অগস্ট বেঞ্চের উদ্বোধনের দিনও ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এরপর আদালতে মামলার কারণে রাজ্য সরকার উদ্বোধন থেকে পিছিয়ে আসে। বেঞ্চ চালু না হওয়ার জন্য এরপর কেন্দ্রকে দুষে পথে নামে তৃণমূল। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে টানা ১৬ দিন এই দাবিতে তৃণমূলের ধর্না চলে।
দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিষয়টিকে সামনে এনে ফের ধর্নায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাদের এই ধর্নাকে রাজনৈতিক চমক বলে দাবি করেছে বিজেপি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে তৃণমূলের এই আন্দোলনে বিজেপি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়বে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
এদিন ধর্নামঞ্চে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণ, বিধায়ক খগেশ্বর রায়, বুলুচিক বরাইক, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু, তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ, সোমবার মঞ্চে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাজির থাকবেন বলে জানান সৌরভ। তিনি বলেন, ‘‘সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে জলপাইগুড়ির মানুষের আবেগ আছে। প্রায় চার দশক ধরে এই দাবিতে আন্দোলন চলছে। আমরা রাজ্যের তরফে সব পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা রাজনৈতিক কারণে বেঞ্চ চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিচ্ছেন না।’’
এই প্রসঙ্গে এ দিন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বাপী গোস্বামী বলেন, ‘‘সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে তৃণমূল নাটক করছে। মানুষকে বোকা বানাতে এই নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি তো নেওয়া হয়নি! তাহলে আজ কেন কেন্দ্রীয় অনুমোদনের প্রশ্ন উঠছে?’’