প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। নিজস্ব চিত্র
মালদহে তৃণমূল আছে তৃণমূলেই। বছরের প্রথম দিনও দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনকে ঘিরে জেলার একাধিক ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে এমন পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, দলের একাংশ বলছেন, এ তো সবে শুরু। দলের ব্লক কমিটিগুলি ঘোষণা হলে সেই দ্বন্দ্ব আরও চরমে উঠবে জেলায়। যার মহড়া দেখা গেল এদিন।
মালদহ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অবশ্য নতুন কথা নয়। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে এক হয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন বারবার। তারপরেও চলছে একই কাণ্ড। এ দিন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ফের সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল শহর থেকে গ্রামেও।
এ দিন সকাল ন’টায় শহরের কানিমোড়ে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকারের কার্যালয়ের সামনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে দুলালবাবু ছাড়াও ইংরেজবাজারের বিধায়ক ও পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ সহ অন্য নেতারা ছিলেন। দুলালবাবু বলেন, ‘‘ দলীয় সিদ্ধান্তেই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের জেলাস্তরের কর্মসূচি এখানে করা হয়েছে।’’ এ দিকে বেলা ১০টা নাগাদ দলেরই নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতাজি মোড় সংলগ্ন শহিদবেদিতে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিপিএমের হার্মাদদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে, এখন হাঙরদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। যাঁরা দলে ঢুকে দলকে ডোবাতে চাইছে।”
দ্বন্দ্বের প্রভাব থেকে বাদ যায়নি মনিকচকও। সেখানে এদিন সকালে নেত্রী সাবিত্রী মিত্রের নেতৃত্বে একটি মিছিল ও বাসস্ট্যান্ডে মঞ্চ বেঁধে সভা চলে, দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিলি করা হয়। দুপুরে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে পাল্টা প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা হয় মানিকচক কমিউনিটি হল মাঠে। আবার কালিন্দ্রী গ্রামে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জরিনা বিবি আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেন। হবিবপুর ব্লকেও পৃথক দুটি কর্মসূচি হয়েছে। ব্লকের বুলবুলচণ্ডী বাসস্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রভাস চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল, সভা হয়েছে। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল মিশ্রর নেতৃত্বেও হাসপাতাল মোড়ে পাল্টা মিছিল হয়েছে। তজমুল হোসেনের নেতৃত্বে মিছিল, সভা হয়েছে। পাল্টা কর্মসূচি হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরেই। জেলা সভাপতিকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy