হেলমেটহীন বাইক চালক। নিজস্ব চিত্র।
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে শাসক এবং বিরোধী হাড্ডাহাড্ডি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রচারে কে কাকে কতটা টেক্কা দিতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এক দিকে চলছে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা অন্য দিকে তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিজেপি।
শুক্রবার বিকেলে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছয় দিদির দূত যাত্রা। আর একটি বিরাট বাইক মিছিল সেই যাত্রাকে স্বাগত জানায় যেখানে প্রায় হাজার খানেক বাইক র্যালিতে অংশ নেয়। তবে সেই বাইক চালকদের অধিকাংশের মাথায় ছিল না হেলমেট। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের সমালোচনা করেছে বিজেপি।
বিজেপির কটাক্ষ, রাজ্য সরকার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর প্রচার চালাচ্ছে, হেলমেট না পরলে ট্রাফিক পুলিশ ধরপাকড় করছে। অথচ শাসকদলের র্যালিতে হেলমেট বিহীন কর্মী সমর্থকরা পুলিশি পাহারায় মিছিল করছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা বলরাম বসাকের অভিযোগ, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি নিতে গেলে তা পাওয়া যায় না। আর বাইক র্যালিতে হেলমেট ছাড়াই পুলিশের সামনে তৃণমুল কর্মী সর্মথকরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর থেকেই প্রমাণ হয় পুলিশ পক্ষপাত দুষ্ট এবং তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।
হেলমেট ছাড়া বাইক র্যালির বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবদুলাল ঘোষকে ফোন করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ধূপগুড়ির সোনাতলাহাট থেকে জলঢাকা পর্যন্ত বাইক মিছিল হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিংহ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার, গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মলয় রায়। বাইক মিছিলে সুজাতা মণ্ডল খাঁয়ের আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy