Advertisement
০২ মে ২০২৪

ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের সদস্যার বাবা

তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাবার বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার এবং অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে। অভিযুক্ত প্রৌঢ় নাগরাকাটার লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য জোসিনা সাঁওতালের বাবা। ক্যারন চা বাগানে মেয়ের বাড়িতেই তিনি লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালবাজার শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩০
Share: Save:

তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাবার বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার এবং অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে। অভিযুক্ত প্রৌঢ় নাগরাকাটার লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য জোসিনা সাঁওতালের বাবা। ক্যারন চা বাগানে মেয়ের বাড়িতেই তিনি লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। ওই প্রৌঢ় ওই বাগানেরই নৈশরক্ষী। বুধবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ধরে মারধর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে শুল্কাপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। মালবাজারের এসডিপিও নিমা ভুটিয়া ধর্ষণের মামলা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।” হাসপাতালেও পুলিশি প্রহরা রয়েছে বলে জানান তিনি। আক্রান্ত ছাত্রীকেও মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে এনে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে।

জোসিনার অবশ্য দাবি, তাঁর বাবা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। অভিযোগ ওঠার পরে তাঁর বাবা তাঁদের বাড়িতেও আশ্রয় নেননি বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল সদস্যা। জোসিনার দাবি, তাঁদের বাড়ি আসার পথেই এলাকার বাসিন্দারা তাঁর বাবাকে ধরে মারধর করেছেন। তবে পুরো ঘটনায় তৃণমূলের ভূমিকা অভিযুক্তের পক্ষেই ছিল বলে অভিযোগ করেছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের স্থানীয় নেত্রী অনিতা মুন্ডা। তিনি বলেন, “পুরো ঘটনাটাই তৃণমূল নেতারা জানেন। কিন্তু অভিযুক্ত তাঁদেরই পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা বলে তাঁরা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।” ওই ছাত্রীর দাদা বলেন, “আমাদের পরিবার ও বোনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।” তাঁদের দাবি, তদন্ত যেন ঠিকঠাক হয়, অভিযুক্তও যেন শাস্তি পায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানেন না। তাঁর বক্তব্য, “পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করুক।”

অভিযোগ, গত ৩০ অগস্ট বাগানের অস্থায়ী নৈশপ্রহরী ওই প্রৌঢ় তাঁরই পড়শি এক অস্থায়ী চা শ্রমিকের বাড়িতে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর কিশোরীটি ভয়ে বাড়িতে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর কিশোরীর পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় তাঁর মাকে সব কথা খুলে বলে। এরপরই থানাতে না গিয়ে প্রথমে কিশোরীর বাড়ির সকলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা জোসিনার বাড়িতেই যান। জোসিনা তাঁর বাবা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মানতে চাননি বলে অভিযোগ। এদিকে ২ সেপ্টেম্বর ঘটনা জানাজানি হয়েছে জেনে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত।

৩ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি লুকিয়ে মেয়ের বাড়িতে আসেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। সে সময়ই থানায় গিয়ে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রীর মা। এদিকে পুলিশবাহিনী বাগানে আসার আধঘন্টা আগেই বাসিন্দাদের হাতে প্রহৃত হন অভিযুক্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE