Advertisement
E-Paper

পুরসভা, মহকুমা পরিষদ ভোটে শুধু মমতার ছবি

এ বার আর পুরসভায় প্রশাসক বসানো হবে না বলেই ঠিক হয়েছে। সম্ভবত ভোট ঘোষণা হবে আগামী মার্চ মাসে। মে মাসে ভোট হবে পুরসভার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৪
পরিদর্শনে: পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শনে: পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

আগামী বছরের শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ ভোটের আর মাত্র কয়েক মাস সময় বাকি। ওই দু’টি ভোটকে পাখির চোখ করে দলীয় কর্মীদের ময়দানে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার বিকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দলের জেলা কমিটির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে কর্মসূচি ঠিক করে থেকে কীভাবে দলকে এগোতে হবে তার নানা পরামর্শও দিয়েছেন গৌতমবাবু। সেখানে তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের পরিষ্কার করে বলে দেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করে প্রচারে হবে না।

দলের কর্মকর্তাদের তিনি জানান, গত পুর নির্বাচনগুলিকে অল্প ভোটের ব্যবধানে পুরবোর্ড হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। অনেক লড়াইয়ের পরেই হাতে আসেনি মহকুমা পরিষদও। এখন থেকেই দলকে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে হবে ভোটের ময়দানে। তিনি জানান, এ বার আর পুরসভায় প্রশাসক বসানো হবে না বলেই ঠিক হয়েছে। সম্ভবত ভোট ঘোষণা হবে আগামী মার্চ মাসে। মে মাসে ভোট হবে পুরসভার।

গৌতম বলেন, ‘‘হাতে মাত্র কয়েক মাস। অল্পের জন্য বিগত বছরগুলিতে পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের ক্ষমতা আমাদের হাতে আসেনি। তাই নতুন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক।’’ তাঁর দাবি, আগামী সেপ্টেম্বরে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদেরও। এর মধ্যে দলকে তৈরি হতে হবে বলে কয়েক দফা পরামর্শ দেন।

দলের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও তৈরির কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সবাইকে নিয়ে চলা এবং নিয়মিত ভাবে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সব নেতাকেই। দলীয় একতা শক্তিশালী হলে তবেই নির্বাচনে ভাল ফল করা যাবে বলে জানান তিনি।

মঞ্চে নতুন দায়িত্ব পাওয়া তৃণমূল জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার-সহ সব নেতাকেই পরামর্শ দেন, দলের নেতাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। তিনি জানান, আগামী ৫ নভেম্বর থেকে ১৫ দিন করে এলাকায় ঘুরব। আগামী ২০২০ প্রথম থেকেই মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করা হবে। সেই পথেই হাঁটার পরামর্শ দেন দলের সব নেতাকে।

এদিন দলীয় কাউন্সিলর, বিভিন্ন ব্লক সভাপতিরা ছাড়াও ছিলেন দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানরা। জেলা সভাপতি রঞ্জন বলেন, ‘‘গৌতমদার নেতৃত্বে আগে লড়েছি। ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে কাঙ্ক্ষিত ফল পাইনি। আমাদের লড়াই এ বার আরও অনেক কঠিন। আমরা ভাইফোঁটার পরই দলের একটি জেলা ওয়েবসাইট এবং একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করছি।’’

Goutam Deb Siliguri Municipal Vote TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy