Advertisement
E-Paper

মন্দির, মসজিদে তৃণমূল নেতারা

বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচিতে প্রতি দিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ফাঁকে মন্দির, মসজিদে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতারা। একে ‘ভোট রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।

অরিন্দম সাহা 

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৪
চিলকিরহাট এলাকার মন্দিরে অভিজিৎ দে ভৌমিক। নিজস্ব চিত্র।

চিলকিরহাট এলাকার মন্দিরে অভিজিৎ দে ভৌমিক। নিজস্ব চিত্র।

জনসংযোগে মন্দির, মসজিদে ছুটছেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতাদের অনেকে। দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার প্রেমেরডাঙার ফেরসাবাড়ি এলাকার একটি মসজিদে যান দলের কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। তার আগে একটি কালীমন্দিরে যান তিনি। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এ দিন কোচবিহার ১ ব্ললের চিলকিরহাট এলাকার একটি কালীমন্দিরে পুজো দেন। কোচবিহার শহর ও লাগোয়া একাধিক মসজিদেও গিয়েছেন তিনি। ওই তালিকায় আরও একাধিক নাম রয়েছে।

বঙ্গধ্বনি যাত্রা কর্মসূচিতে প্রতি দিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ফাঁকে মন্দির, মসজিদে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতারা। একে ‘ভোট রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরে জেলা জুড়ে বঙ্গধবনি যাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোজই নির্দিষ্ট এলাকায় সূচি মেনে যাচ্ছেন দলের নেতারা। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার কর্মসূচিতে বিনয়ের সঙ্গে ছিলেন বিজয়চন্দ্র বর্মণ। অন্যদিকে কোচবিহার ১ ব্লকে অভিজিৎয়ের সঙ্গে ছিলেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্তশর্মা। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বলেন, “আমাদের কাছে সবার আগে মানুষ। তাঁদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বলছি। এলাকার মন্দির, মসজিদেও যাচ্ছি। আগেও এ ভাবেই আমরা গিয়েছি।”

যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ বলেন, “রাজ্য সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড বিলির সঙ্গে যে এলাকায় কর্মসূচি হচ্ছে সেখানকার মন্দির, মসজিদে যাচ্ছি। অনেকের সঙ্গে দেখাও হচ্ছে।”

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য পরিমল বর্মণও কর্মসূচিতে নেমেছেন। জলিল বলেন, “মন্দির, মসজিদ সব জায়গাতেই যাচ্ছি। আমাদের কাছে মানুষ সত্য।” শুচিস্মিতা, পরিমলও একই কথা জানান।

এ নিয়ে বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, সামনে বিধানসভা ভোট। সে জন্যই মন্দির, মসজিদে যেতে হচ্ছে শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের। বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোটের মুখে এখন রুটিন করে মন্দির, মসজিদে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতারা। এ সবে লাভ হবেনা। তৃণমূল জমানায় সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু কারও উন্নয়ন হয়নি। সে জন্য মানুষের মনে এখন আর ওদের জায়গা নেই। বিজেপি মানুষের হৃদয়ে আছে।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “অর্থনৈতিক সঙ্কট, বেকারত্ব, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্যও ব্যর্থ। সামনে বিধানসভা ভোট বলে অনেকে মন্দির, মসজিদে যাচ্ছেন। মানুষ সব বোঝেন। এ সব করে ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে না।”

TMC Temples Mosques
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy