Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেনে টিকিট কাটার নির্দেশ তৃণমূলের

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীরা মূলত উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, তিস্তা তোর্সা, পদাতিক, সরাইঘাটের মতো ট্রেনে চেপেই ওই সভায় যোগ দেবেন।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০৪:২৯
Share: Save:

কাটমানি নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে বলে মানেন তৃণমূলের অনেক কর্মীই। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষদের অনেকেও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এই অবস্থায়, কোনওভাবেই যাতে নতুন করে দলকে সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য ২১ জুলাইয়ের মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের ট্রেনের টিকিট কাটার নির্দেশ দিয়েছেন দলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। স্পষ্ট ভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, বিনা টিকিটে কেউ সওয়ার হলে তাঁর দায়িত্ব দল নেবে না।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “সবাইকে টিকিট কেটেই সভায় যোগ দিতে হবে। দল কর্মীদের পাশে থাকবে।” দলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “টিকিট কেটেই ট্রেনে চেপে ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে।”

২১ জুলাই কলকাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক বছরই হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী কোচবিহার থেকে কলকাতায় যান। এ বারে দল লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ২১ জুলাই নিয়ে উন্মাদনা খানিকটা কম থাকলেও তৃণমূল সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীরা মূলত উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, তিস্তা তোর্সা, পদাতিক, সরাইঘাটের মতো ট্রেনে চেপেই ওই সভায় যোগ দেবেন। প্রত্যেক বারই ২১ জুলাইয়ের আগের তিন-চারদিন তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। এর আগে বার বার অভিযোগ উঠেছে, বিনা টিকিটে ট্রেনে চাপা তৃণমূল কর্মীরা আসন দখল করে বসে রয়েছেন। এমনকি সংরক্ষিত কামরাতেও তৃণমূল কর্মীদের আসন দখল নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় এ বারে তেমন হলে দলের ভাবমূর্তি আরও নষ্ট হবে বলে মনে করছেন নেতারা। এমনকি দলকে আরও কঠিন সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, “এখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চলছে। এই সময় আর ভাবমূর্তি খারাপ হতে দেওয়া যাবে না।”

দলীয় সূত্রে খবর, নিউ কোচবিহার, মাথাভাঙা থেকেই মূলত কোচবিহারের তৃণমূল কর্মীরা ট্রেনে চাপবেন। কিছু কর্মী ফালাকাটা স্টেশন থেকেও ট্রেন ধরবেন। এ জন্য নিউ কোচবিহার-সহ প্রত্যেকটি জায়গায় ক্যাম্প তৈরি করেছে তৃণমূল। খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্কও। সেখান থেকে কর্মীদের পার্টির ব্যাজ, শুকনো খাবার, জলের বোতল দেওয়া হবে। এ ছাড়া কারও কোনও অসুবিধে হলে তাঁকে সাহায্য করবে দল। মূলত ১৭ জুলাই থেকেই কর্মীরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন। ২০ জুলাই পর্য়ন্ত তৃণমূল কর্মীদের ভিড় থাকবে ট্রেনগুলিতে। কার কার নেতৃত্বে কোন অঞ্চল থেকে কত কর্মী যাবেন তা নথিবদ্ধ করা হবে। সব মিলিয়ে এ বারে পাঁচ হাজার কর্মী কোচবিহার থেকে কলকাতায় যেতে পারেন। তৃণমূল সূত্রে অবশ্য দাবি করেছে, ওই সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশিই থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar TMC Rail Tickets 21 July
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE