Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ফাঁকা ট্রেনে কলকাতা যাত্রা তৃণমূল কর্মীদের

অন্য বার সব জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মীরা ২১ জুলাই কলকাতার সভায় গিয়েছেন।

ভিড় নেই: ফাঁকা জলপাইগুড়ি স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

ভিড় নেই: ফাঁকা জলপাইগুড়ি স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৬
Share: Save:

দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উপস্থিত। কার্যকরী সভাপতিও আছেন। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা কৃষক সংগঠনের সভাপতিও প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে। ট্রেনও চলে এল। কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা বাড়ল না। সঙ্গে আনা ২১ জুলাইয়ের ব্যাজগুলোর বেশিরভাগ হাতেই থেকে গেল নেতাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যাওয়ার জন্য কলকাতাগামী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে উঠলেন সাকুল্যে জনা ত্রিশেক নেতা-কর্মী। প্রতি বছরই ২১ জুলাইয়ের চার দিন আগে থেকে নেতা-কর্মীদের কলকাতা যাওয়া শুরু হয়। সেই মতো গত বুধবার থেকে টাউন স্টেশনে সহায়তা শিবিরও করেছে তৃণমূল। দলেরই নেতাদের দাবি, এ বারে এখনও কর্মীদের দেখা নেই। জেলা নেতাদের কেউ আবহাওয়াকে দুষছেন, কেউ বা দায়ী করলেন প্রচারের ‘খামতি’কে।

অন্য বার সব জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মীরা ২১ জুলাই কলকাতার সভায় গিয়েছেন। নেতারা ব্যাজ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, কর্মী-সমর্থকরা স্টেশনে এসে ব্যাজ নিয়ে ট্রেনে উঠে পড়েন। বৃহস্পতিবারও জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন, রানিনগর স্টেশনে তেমন আয়োজন হয়েছিল। তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মিনিট দশেক আগে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল দলের সহায়তা কেন্দ্রটি ফাঁকা। তৃণমূলের পতাকা অথবা ব্যানার হাতে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এমন এক জনকেও পাওয়া গেল না। নেতারা এসে কয়েকটি দম্পতি সহ কয়েক জনকে ব্যাজ পরিয়ে দিলেন। ট্রেন এল। পতাকা, ব্যানার ছাড়াই ব্যাজ পরা কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনে উঠলেন।

গত কয়েক বছর ধরে একুশে জুলাইয়ের সভায় যাচ্ছেন বলে দাবি করলেন দক্ষিণ পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা মানিক রায়। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী চুমকি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছেলেও রয়েছে। মানিক রায়ের মন্তব্য, “প্রতিবার তো ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে জায়গা পেতে হয়। এ বার তো যাওয়ার তেমন লোকই নেই দেখছি।”

সদ্য কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া চন্দন ভৌমিক এ দিন প্ল্যাটফর্মে ছিলেন। বললেন, “প্রচারে খামতি থাকতে পারে। তা ছাড়া, এখন খেতেও কাজ চলছে।” তৃণমূলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় স্টেশনে দাঁড়িয়ে বলেন, “এ বার পরে বৃষ্টি হয়েছে, সকলে রোয়া বুনতে ব্যস্ত। আগামী কাল এবং পরশু বেশি করে লোক যাবে।” কৃষক সংগঠনের সভাপতি দুলাল দেবনাথ, তাঁর মন্তব্য, “শুধু ট্রেনে নয়, অনেকে বাসেও যাচ্ছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC 21 July Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE