Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘পিটিয়ে মন্ত্রীদের চামড়া তুলব’, স্লোগান তৃণমূলেরই!

যুব নেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘‘শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসটাকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছে। ইচ্ছা মতো ভাবে পার্টি লোকদের দ্বারা চালাচ্ছেন। সাধারণ বৈঠকেও আমাদের যুব তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ডাকছেন না।’’

হীতেন বর্মন (বাঁ দিকে) ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল ছবি

হীতেন বর্মন (বাঁ দিকে) ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৪
Share: Save:

গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ। পঞ্চায়েত তৃণমূলের। বিক্ষোভ যুব তৃণমূলের। সেখানে স্লোগান উঠল, ‘‘রবি ঘোষের চামড়া তুলে নেব আমরা, হিতেন বর্মণের চামড়া তুলে নেব আমরা। রবি ঘোষ ও হিতেন বর্মণের ধোলাই পিটাই করব আমরা।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও স্থানীয় বিধায়ক হিতেন বর্মণকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন মাথাভাঙা ১ ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা কর্মীরা। এর আগে কোচবিহারেও একই স্লোগান উঠেছিল। ঘটনার সুত্রপাত শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বচসা। অভিযোগ যুব তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে কোনও বৈঠকে না জানিয়ে কাজ করছে প্রধান। এমনকি গত মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বৈঠকে যুবদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে দাবি।

সে কারণেই বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা ১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে। যদিও তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করে, যুব তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিস দখল করতে আসে। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয় শিকারপুর অঞ্চল। বিশৃঙ্খলার আঁচ বুঝে মাথাভাঙা থানায় আগে থেকে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভ এক সময় চরম পর্যায়ে যায়। পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় যুব তৃণমূল কর্মীদের। শেষে মাথাভাঙা থানার আইসি প্রদীপকুমার সরকার গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অন্য দিকে গন্ডগোলের আশঙ্কায় প্রধান ও তাঁর অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যরা আসেননি অফিসে।যুব নেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘‘শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসটাকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছে। ইচ্ছা মতো ভাবে পার্টি লোকদের দ্বারা চালাচ্ছেন। সাধারণ বৈঠকেও আমাদের যুব তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ডাকছেন না।’’ তিনি বলেন, ‘‘কত দিন পুলিশ দিয়ে আগলে রাখবে? আমরা প্রধান ও তৃণমূল নেতাদের ছেড়ে কথা বলব না।’’

যুবদের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ প্রধান প্রতিমা বর্মণ। তবে মাথাভাঙা ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি মজিরুল হোসেনের দাবি, যে কর্মীরা দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁরা তৃণমূলের কর্মীই নন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা দলের নির্দেশিকা মানেন না, তাঁরা আমাদের দলের কর্মী নন। বিজেপি ও নির্দল কিছু নেতা যুব তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে বিশৃঙ্খলা করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE