Advertisement
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লাইন ছেড়ে রাস্তায় ইঞ্জিন

ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিন। শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মহানদী স্টেশনের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দিন ৬ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের দুই কামরার ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিল।

বেলাইন: টয় ট্রেন। নিজস্ব চিত্র

বেলাইন: টয় ট্রেন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৪
Share: Save:

ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিন। শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মহানদী স্টেশনের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দিন ৬ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের দুই কামরার ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিল। এ দিনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। বেলা দেড়টার পরে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গেলে ইঞ্জিনটিকে লাইনে তোলার কাজ শুরু হয়। লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন রেলকর্তারা। তবে ওই রুটে সন্ধে পর্যন্ত ট্রেন বন্ধের কোনও নির্দেশ জারি হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি। যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।’’ এ বছরই জানুয়ারিতে শেডে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছিল।

কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? রেলের জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, বৃষ্টিতে লাইন পিছল হয়ে থাকে। তার মধ্যে হঠাৎ ব্রেক কষতে হয়েছিল। তার জেরেই লাইনচ্যুত হয় ইঞ্জিনটি।’’ কেন বাঁকের মুখে হঠাৎ ব্রেক কষতে হল, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, অনেক সময় বৃষ্টিতে বালি-পাথর লাইনের পাশে জমে গিয়ে লাইনের সঙ্গে সমান্তরাল হয়ে যায়। সেই সময় এমনিতেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তার মধ্যে বৃষ্টিতে লাইনের উপরিভাগ পিছল হয়ে থাকলে সামান্য ব্রেক কষলেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। রেল সূত্রে এও দাবি করা হয়েছে, লাইনের উপর কোনও বাধা থাকলে এরকম ভাবে ব্রেক কষার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ দিয়ে টয় ট্রেনের লাইন। পর্যটকদের গাড়ি অনেক সময়ই লাইন ঘেঁষে পার্ক করা হয়। সেরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম সঞ্জীব রায় এনজেপি এসে যাত্রী নিরাপত্তার উপর জোর দিতে বলেছিলেন। তারপরেও এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘রাস্তার উপর পার্কিং সরাতে সকলেরই নজর দিতে হবে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে রেল কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হতে হবে।’’ ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুতের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাতেও ট্রেন চালানোর ঝুঁকি কেন নেওয়া হল সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Toy train Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy