কাকঝোরাতে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ধাক্কা লাগে টয় ট্রেনের কামরায়। শনিবার রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।
লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ব্যাহত হল টয় ট্রেন চলাচল। শনিবার দুপুরে দার্জিলিং থেকে ঘুম যাওয়ার পথে কাকঝোরা এলাকায় এই দুর্ঘটনার জেরে প্রায় তিরিশ মিনিট ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, কাকঝোরা এলাকায় রেল লাইনের পাশে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির পাশ দিয়ে টয় ট্রেনের ইঞ্জিন চলে গেলেও, পেছনের একটি কামরার ঘষা লেগে যায়। কেউ হতাহত না হলেও, ট্রেনের কামরার একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জেরেই দুপুরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ যাত্রী-পর্যটকেরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ জন যাত্রীকে নিয়ে টয়ট্রেনটির দার্জিলিং থেকে ঘুম এবং ফিরতি পথে ঘুম থেকে দার্জিলিঙে যাওয়ার কথা ছিল। রেলের তরফে একে ‘জয় রাইড’ বলা হয়। পর্যটক টানতেই রেলের তরফে জয় রাইড করা হয়। তবে এ দিনের দুর্ঘটনার পরে পর্যটকদের নিয়ে জয় রাইডে কেন বাড়তি সর্তকতা ব্যবস্থা থাকবে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ।
ছত্তীসগঢ়ের থেকে দার্জিলিঙে আসা ঋষি গুপ্ত বলেন, ‘‘লাইনের একেবারে পাশেই ছিল গাড়িটি। হঠাৎই দেখলাম কামরার দেওয়ালে ঘষা লেগে গেল। কামরাটি জোরে দুলে ওঠে। আমরা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বরাতজোরে বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।’’ বারাণসী থেকে আসা গণেশ মিশ্র অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘জয় রাইডের ভাড়া বেশি। এ দিন এমন বড় কিছুও হয়নি। তার জন্য প্রায় আধঘণ্টা মাঝরাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হল। পর্যটকদের জন্য কোনও ব্যবস্থা থাকলে, তার জন্য বাড়তি সর্তকতামূলক ব্যবস্থা থাকাও প্রয়োজন।’’ বর্তমানে জয় রাইডের জন্য একেক জনের ভাড়া হাজার টাকারও বেশি।
দার্জিলিঙের স্টেশন ম্যানেজার সুমন প্রধান বলেন, ‘‘রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িটির জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বড় কিছু ঘটেনি। তবে ট্রেন চলাচলে কিছুটা দেরি হয়েছে।’’ যে গাড়ির সঙ্গে ট্রেনের কামরার ধাক্কা লেগেছে, সেই গাড়ির চালক সুজিত ওঁরাও জানিয়েছেন, মাদারিহাট থেকে পর্যটকদের দার্জিলিঙে নিয়ে এসেছিলেন। কোথায় গাড়ি রাখতে হয় তা না জানার কারণেই লাইনের পাশে গাড়ি রেখেছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন। রেলের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy