পাঠশালা: শিলিগুড়িতে জিএসটি নিয়ে আলোচনা। নিজস্ব চিত্র
‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স’ বা জিএসটি গোটা দেশের ব্যবসায়ী মহল এখন তোলপাড়। কী ভাবে নতুন রেজিস্ট্রেশন হবে, নথিপত্রও কী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে বা কী হারে কোন মালপত্র কর নেওয়া হবে, করের কোন নথি কীভাবে দাখিল করতে হবে-এমনই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দিনভর ব্যস্ত থাকছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি তরফেও নানা শিবির, প্রচার চালিয়ে জিএসটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের চিন্তাভাবনা ও দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তখন ‘জিএসটি পাঠশালা’ নাম দিয়ে শুক্রবার শিলিগুড়িতে এমনই একটি আলোচনা শিবির করল সিআইআই নর্থবেঙ্গল জোন এবং শিলিগুড়ি স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি।
এদিন বিকালে শহরের হার্ডওয়ার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভবনে বাণিজ্যকর বিভাগের উত্তরবঙ্গের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার শুরু থেকেই বানিজ্যকরের বিভাগের অফিসারেরা পরিস্কার বাংলা ভাষায়, স্টিল ও ফার্নিচারের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেন, কর সংক্রান্ত নানা জটিলতার অবসান ঘুচিয়ে সরলভাবে হিসাব রাখার জন্য সরকার এই ব্যবস্থা দেশে চালু করেছে। বাণিজ্যকর বিভাগের উত্তরবঙ্গের যুগ্ম কমিশনার চৈতন্য দে সরকার বলেন, ‘‘না জেনেই অনেকে নানা কথা বলে দিচ্ছেন। তা আরও মারাত্মক হয়ে যাচ্ছে। এর জন্যই একের পর এক শিবির করতে হচ্ছে।’’ এর পরে বানিজ্যকর বিভাগের অফিসার কাঞ্চন হালদার ল্যাপটপের মাধ্যমে বড় স্ক্রিণে জিএসটির খুঁটিনাটি ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে দেন। কোঅপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক সঞ্জিত সাহা জানান, ব্যবসায়ীদের জিএসটি নিয়ে ধারণাটা সঠিক করাই শিবিরের লক্ষ্য।
সিআইআই-র মত উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফোসিনও বানিজ্যকর বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে একই কাজ শুরু করেছে। সংগঠনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস জানান, শহরের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে বসে বিষয়টি পরিস্কার করা হচ্ছে। নইলে নানা বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। তাতে আম জনতা বা ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy