বিনা টিকিটে যাত্রীদের সংরক্ষিত কামরায় ওঠার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধেয় এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জ, মালদহ ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে।
রবিবার এই ঘটনার জেরে রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে ১৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে কলকাতাগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। কাল ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের তরফে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই ওই কর্মী সমর্থকেরা কলকাতার রওনা হয়েছিলেন। এ দিন রাধিকাপুর থেকে নির্ধারিত সময় সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিটে রায়গঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছয় কলকাতাগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো মাত্রই তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক বিনা টিকিটে ওই ট্রেনের একাধিক সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েন। সেই সময় সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের একাংশ ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। এর পর স্টেশন কর্তৃপক্ষ জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন সংরক্ষিত কামরায় উঠে বিনা টিকিটের যাত্রীদের অনুরোধ করে নামিয়ে দেন। পরে তাঁরা সাধারণ কামরাতেই কলকাতা রওনা হন।
স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট জয়ন্ত চন্দ বলেন, ‘‘বিনা টিকিটে কিছু যাত্রী সংরক্ষিত কামরায় উঠে গিয়েছিলেন। তাঁদের নামাতে গিয়ে ১৫ মিনিট দেরি হয়ে যায়।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, ওই কর্মীরা পরে ভুল বুঝতে পেরে নেমে গিয়ে সাধারণ কামরায় চাপেন। তিনি বলেন, ‘‘আগেই দলের তরফে কর্মী সমর্থকদের বিনা টিকিটে সংরক্ষিত কামরায় না ওঠার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে।’’
মালদহ স্টেশনেও গৌড় এক্সপ্রেসে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা জোর করে উঠে পড়ে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া উত্তর দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থেকে বহু মানুষ এদিন মালদহ স্টেশনে চলে আসেন। অসংরক্ষিত কামরা ছাড়াও সংরক্ষিত কামরাতেও জোর করে উঠে পড়েছেন তারা বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। যাত্রীদের আবেদনে হস্তক্ষেপ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরপিএফ কর্মীরাও। পরে জিআরপি ও আরপিএফ মিলে জোর করে তৃণমূল সমর্থকদের নামিয়ে দিয়েই ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করেন। গন্তব্যে যেতে না পেরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মীরা। পরে জিআরপির হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ মেটে। তাতে অবশ্য ট্রেনের ৯ টা ৩৫ এর নির্দিষ্ট সময়েই ছেড়ে যায়।
এ দিন একই অভিযোগে জনতার সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে চড়ে বসেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। পরে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা বাধে। বচসায় নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা পরেও পদাতিক ছাড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy