Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শীতের থাবায় জবুথবু সারা উত্তরবঙ্গ

পাশাপাশি কুয়াশায় বিঘ্নিত হয়েছে যান চলাচল। বাতিল হয়েছে বিমান। উত্তরের জমজমাট বিভিন্ন রাস্তাও দিনভর ছিল সুনসান। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী দু’দিন এমন পরিস্থিতি চলতে পারে।

উত্তাপ: সন্ধ্যায় জাঁকিয়ে পড়ল শীত। আরাম পেতে আগুনে ভরসা। শনিবার ধূপগুড়িতে। ছবি: রাজকুমার মোদক

উত্তাপ: সন্ধ্যায় জাঁকিয়ে পড়ল শীত। আরাম পেতে আগুনে ভরসা। শনিবার ধূপগুড়িতে। ছবি: রাজকুমার মোদক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১১
Share: Save:

কড়া রোদ উঠতেই তাপমাত্রা নামলো হু হু করে। মালদহ থেকে শিলিগুড়ি শনিবার ছিল এই মরসুমের শীতলতম দিন। কনকনে উত্তুরে হাওয়ার জেরে ব্যহত হয়েছে জনজীবন। পাশাপাশি কুয়াশায় বিঘ্নিত হয়েছে যান চলাচল। বাতিল হয়েছে বিমান। উত্তরের জমজমাট বিভিন্ন রাস্তাও দিনভর ছিল সুনসান। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী দু’দিন এমন পরিস্থিতি চলতে পারে।

বাতিল হল বিমান

শনিবার সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা শহরে কনকনে ঠান্ডায় আতঙ্কিত ছিলেন বিমান যাত্রীরা। তবে সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য সমস্যা পড়তে হয়নি। এক এক করে ২০ জোড়া বিমানই স্বাভাবিকভাবে‌ যাতায়াত করেছে বাগডোগরা থেকে। সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির একটি বিমান বাতিল হয়েছে। বিকেল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দেরিতে চলেছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিও।

ফসলে ক্ষতি

ঠান্ডার দাপটে অশনি সঙ্কেত দেখছেন কৃষকরা। কুয়াশার কারণে খেতের আলুতে ধসা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। শাকসব্জি চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি। উত্তর দিনাজপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান, ধনঞ্জয় মণ্ডল জানিয়েছেন, এই সময়ে যে কোনও বীজ বপন করার পরে অঙ্কুর বের হতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। তাঁর কথায়, ‘‘বোরো ধানের বীজের ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’ সে ক্ষেত্রে জিঙ্ক স্প্রে ও ছত্রাক নাশক স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।’’

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

• দার্জিলিং ৬

• কালিম্পং ৮

• কার্শিয়াং ৭

• শিলিগুড়ি ৯.৫

• মালদহ ৮.১

• কোচবিহার ১০

• রায়গঞ্জ ১২

• জলপাইগুড়ি ১২

• আলিপুরদুয়ার ১২.৫

গতি কমলো জাতীয় সড়কে

একদিকে ঘন কুয়াশা৷ অন্যদিকে হাল্কা বাতাস৷ আর যার জেরে জাঁকিয়ে শীত পড়ল জলপাইগুড়িতে৷ আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শনিবার জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ এ দিন সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা৷ দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন রাস্তায় ধীর গতিতে চলে যানবাহন৷ বেলায় কুয়াশা কাটলেও দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি জলপাইগুড়িতে৷ জলপাইগুড়ি থেকে ৩১ ডি জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। এ দিন সময় লেগেছে তার দ্বিগুণ।

অন্য ছবি মালদহে

অন্যান্য জেলাগুলোতে কুয়াশা দাপট থাকলেও মালদহ ছিল খানিকটা ব্যতিক্রমী। শনিবার সকাল থেকে মালদহে ছিল ঝলমলে আকাশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.১ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ দিন ছিল মরসুমের শীতলতম দিন। প্রচন্ড ঠান্ডার জন্য এ দিন অঘোষিত বন্‌ধের চেহারা নিয়েছিল মালদহ। ইংরেজবাজার শহরের বাজারগুলোতে অধিকাংশ দোকানই ছিল বন্ধ। এ দিন বিকেল নামতেই সুনসান হয়ে যায় শহরের রাস্তাঘাট। শহরের রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে দেখা যাচ্ছে আগুনের পাশে জটলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Weather Update Winter Temperature
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE