৪৮ ঘণ্টা পার হলেও মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে অপহৃত দুই কিশোরকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ধরা পড়েনি অপহরণে অভিযুক্তও।
অপহরণের ঘটনার পরদিন বিকেলে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করেছিল। কিন্তু দুদিন পার হতে চললেও অপহৃত দুই কিশোর উদ্ধার না হওয়া ও অপহরণে অভিযুক্তও গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাজুড়েই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এমনকী, মূল অভিযুক্ত আসরাফুল হক এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে ধরছে না বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দুষ্কৃতী শাসকদলের আশ্রয়ে থাকায় পুলিশ তাকে ধরছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলমও।
শনিবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুরের নিউ সাদলিচক এলাকায় বাড়িতে চড়াও হয়ে কংগ্রেসের সাদলিচক বুথ কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ-সহ তার পরিবারের চারজনকে আসরাফুল হক ও তার দলবল তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আসরাফুল শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। ওই ঘটনার পর রবিবার বিকেলে কুমেদপুর এলাকা থেকে আব্দুর রশিদ ও তার ভাই শেখ বাদিরুদ্দিনকে পুলিশ উদ্ধার করে। কিন্তু তাদের উদ্ধার করে কুমেদপুর ফাঁড়িতে আনার পর সেখানেও দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। উদ্ধার হওয়া দুজনকে নিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেও অবশ্য ব্যর্থ হয়। কিন্তু বাকি দুই কিশোর সাবিকুল ইসলাম ও আনারুল হকের এখনও হদিশ না মেলেনি। অভিযুক্তও গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্ক কাটেনি পরিবারের।
কংগ্রেসের অভিযোগ, কুমেদপুর তালগ্রামহাট এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ ওই দুষ্কৃতী এলাকায় তোলাবাজি, অপহরণ করে টাকা আদায় থেকে শুরু করে নানা অসামাজিক কাজকর্মে জড়িত। শাসক দলের আশ্রিত হওয়ায় পুলিশের একাংশের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তাই অধিকাংশ সময়েই ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কেউ পুলিশে অভিযোগ জানানোর সাহস পান না। ফলে এলাকায় তার দাপট বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের। আর তার জেরেই ওই দুষ্কৃতী এতটা বেপরোয়া যে ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে উদ্ধার হওয়া দুজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অবধি করেছে। তারপরেও ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে ব্যর্থ কেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক।
যদিও ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে কোনও রকম পরিচয়ের অভিযোগ অবশ্য পুলিশ অস্বীকার করেছে। অপহৃত কিশোর আনারুলের দাদা ও সাবিকুলের কাকা শেখ আলাউদ্দিন এ দিন বলেন, ‘‘দুই দাদা উদ্ধার হলেও বাকি দুজনকে পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। ওরা কী অবস্থায় আছে জানি না। কী উদ্দেশ্যে ওদের অপহরণ করা হয়েছিল, তাও বুঝতে পারছি না।!! জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য এ দিনও জানান, ‘‘দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না। কেউ নিজেকে তৃণমূল বললেই হয় না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy