দিনহাটায় তৃণমূলের সভায় বক্তব্য রাখছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। ছবি - সুমন মণ্ডল
দলের ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরার মঞ্চ থেকে সরাসরি ‘দেওয়া-নেওয়া’র হিসেব বোঝালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি উদয়ন গুহ। রবিবার দুপুরে কোচবিহারের দিনহাটার সংহতি ময়দানে সভা করে তৃণমূল। উদয়ন সেখানে বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসে আপনার গ্রামের উন্নয়ন করে দেব। রাস্তা পাকা করব, ড্রেন করব, কালভার্ট করব, বাতি জ্বালিয়ে দেব, আর ভোটের বাক্স ঠনঠনে হবে, সেটা যাতে না হয় তার জন্য আমি নিজের পদত্যাগ করে আপনাদের পায়ে কুড়ুলের বাড়ি দেব। যাতে আপনাদের শিক্ষা দিতে পারি। হয় ভোট এবং তার সঙ্গে উন্নয়ন। আর যদি ভোট না দাও তা হলে উন্নয়নও হবে না। এ বার কিছু নিতে হলে কিছু দিতে হবে। শুধু নিয়ে যাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আর দেওয়ার সময় কিছু দেব না এ জিনিস চলতে পারে না।’’ বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘তৃণমূল শুধু ভোটের রাজনীতি করে, উন্নয়নে নজর নেই। উত্তরবঙ্গ বরাবর অবহেলিত। মানুষ সরে গিয়েছে বুঝেই এই ধরনের কথা বলছে। আর তৃণমূলে এখন এই দেন-পাওনাই চলছে।’’
এ দিন দিনহাটার ওই সভায় তৃণমূলের কোচবিহার জেলার শীর্ষ নেতাদের প্রত্যেকেই যোগ দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পার্থপ্রতিম রায়। কিন্তু মন্ত্রী উদয়ন কী বলেন সে দিকেই নজর ছিল সবার। উদয়ন বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারকে ‘ডাকাত’ মুক্ত করতে হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা হেরেছি। সে সময় তৃণমূলের কিছু-কিছু নেতা বিজেপি প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন।’’ এ দিন পুলিশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে কোচবিহার জেলা পুলিশের একটি অংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’’ যদিও কোচবিহার জেলা পুলিশের কোনও কর্তা ওই বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না।
লোকসভা ভোটের মুখে দলকে চাঙ্গা করতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন উদয়ন। বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) যদি পাঁচটা লাঠি নিয়ে আসে, তা হলে আমাদের ১৫টা লাঠি নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। একেবারে ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে লড়াই হবে।’’ এর জবাবে বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেদের লোক ও নিজেদের পুলিশের উপরে ভরসা করতে পাচ্ছে না। আসলে মানুষ তৃণমূল থেকে সরে গিয়েছে। তাই আর কোনও কথাই কাজে দেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy