Advertisement
E-Paper

ক্ষোভে গুজবের ইন্ধন, বিশৃঙ্খলা বিডিও অফিসে

বারবার আবেদন করেও ডিজিটান রেশন কার্ড না মেলায় ক্ষোভ ছিলই। তাতে ইন্ধন জোগাল গুজব। যার ফলে ডিজিটাল কার্ডের ফর্ম জমা নেওয়াকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা হল কোতোয়ালি থানার ধলুয়াবাড়িতে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক বিডিও অফিসে। সোমবার সকালের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৫২
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ।নিজস্ব চিত্র

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ।নিজস্ব চিত্র

বারবার আবেদন করেও ডিজিটান রেশন কার্ড না মেলায় ক্ষোভ ছিলই। তাতে ইন্ধন জোগাল গুজব। যার ফলে ডিজিটাল কার্ডের ফর্ম জমা নেওয়াকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা হল কোতোয়ালি থানার ধলুয়াবাড়িতে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক বিডিও অফিসে। সোমবার সকালের ঘটনা।

ওই বিডিও অফিসে ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের ডিজিটাল রেশন কার্ডের ফর্ম জমা দেওয়ার কথা। অভিযোগ, সোমবার সেই ফর্ম জমার শেষদিন এমন গুজব রটে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন বিডিও অফিসের সামনে। স্বল্প সংখ্যক কর্মীরা এত ভিড় সামলাতে না পেরে কিছুক্ষণ পর উঠে যান। কর্মীরা অফিস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন এই দাবি করে জনতা অফিসের গ্রিল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। অবরোধ করা হয় দিনহাটা-কোচবিহার রাজ্য সড়ক। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বিডিও স্বপন পাত্র মাইক হাতে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ঘটনার পর ওই ব্লকে যান খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কোচবিহার জেলা আধিকারিক কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘গুজবকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছে। এখনও সরকারের তরফে ফর্ম জমা নেওয়ার শেষদিন ধার্য করা হয়নি।’’ তিনি জানান, ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ওই এলাকার পঞ্চায়েতগুলিতে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার মাইকিং করে কোথায় কবে আবেদন পত্র জমা নেওয়া হবে তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোচবিহার জেলায় এখন পর্যন্ত ২৬ লক্ষ রেশন কার্ড এসেছে। তার বেশিরভাগটাই বিলি করা হয়েছে। বাকিগুলি এখনও বিলির কাজ চলছে। গ্রামবাসী বাবুনাথ রাজভর, সন্দীপ রাজভর, আজিমুদ্দিন মিয়াঁ, মকসেদ হোসেনরা জানান, তাঁরা কয়েক দফায় ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু তা হাতে পাননি। সন্দীপবাবু বলেন, “আমরা বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষ। ডিজিটাল কার্ড পেলে চাল, গম পেতে পারি।’’ আজিমুদ্দিন মিয়াঁর অভিযোগ, “তিনবার আবেদন করেও কার্ড মেলেনি। আজকে শেষ তারিখ শুনে সব কাজ ফেলে এলাম।’’ সাধারণ বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, শহরে এমনকী গ্রামেও এমন অনেকেই ডিজিটাল কার্ড পেয়েছেন যাদের বাড়ি পাকা। সোমবার বিডিও অফিসে বিক্ষোভের কারণ হিসেবে এই অভিযোগের কথাই বলেছেন তাঁদের অনেকেই।

BDO Office Rumor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy