ক্লাবের কর্তৃত্বকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হল ওই ক্লাবের ভবন, সিপিএম পার্টি অফিস ও কয়েকটি দোকানপাট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়ির গাদংয়ের ঘটনা। অভিযোগ, গাদংয়ের পল্লি উন্নয়ন সঙ্ঘ ও পাঠাগারের দেওয়া ঘর ভাড়ার টাকা নিয়ে ক্লাবের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। ক্লাবের একটি অংশ সিপিএমের সদস্য, অন্য একটি অংশ তৃণমূলের।
মূলত ক্লাবের কর্তৃত্ব নিয়েই শুরু হয় উত্তেজনা। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ক্লাবের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। তারপরে ফের কমিটি গঠনের জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ জেলা গ্রন্থাগারে আবেদন জানালে, বিধানসভা ভোটের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্লাব ভোট স্থগিত হয়ে যায়। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ক্লাবের দুই দলের সমর্থিত সদস্যরা আলাদা সময়ে আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান করে। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থিত সদস্যা দোকান ঘরের ভাড়া তুলে অনুষ্ঠান করে। কার্যত তখন থেকেই ক্লাবের সমস্যা শুরু হয়। দোতলা ক্লাব ভবনের নীচের তলায় বারো তেরোটি ঘরে দৈনিক ১৩ টাকা হিসাবে দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেই ভাড়া তোলাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় ক্লাবে মিটিং হয়। মিটিংয়ে প্রবল উত্তেজনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশও ছুটে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রথমে বচসা ও পরে ভাঙচুর শুরু হয়। ক্লাবের এক কর্মকর্তা রাজু রায় অভিযোগ করে বলেন, “ক্লাবে সব দলের সদস্যরা আছেন। কিন্তু, ২০১৬ জানুয়ারিতে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তৃণমূল সমর্থিত সদস্যরা ক্লাবের রাশ তাঁদের হাতে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। এ দিন তৃণমূলের সমর্থিত সদস্যরা ক্লাবের নীচে দেওয়া দোকান ভাড়া তাঁরা তুলবেন বলাতে অন্য সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। তখন বাইরে থেকে মানুষ এনে তৃণমূল সমর্থিত সদস্যরা ক্লাব লাগোয়া সিপিএম পার্টি অফিস ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর চালায়।” উত্তজনার খবর পেয়ে ধূপগুড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
ধূপগুড়ির তৃণমূলের নেতা রাজেশ সিংহ বলেন, “আজ বিকালে ওই ক্লাবের পাশে আমাদের একটি প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় সিপিএম সমর্থিত সদস্যরা গালিগালাজ করাতে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে ভাঙচুরে আমাদের দলের কেউ জড়িত। ভাঙচুর করেছে ক্লাব সদস্যরা। উল্টে সিপিএমের কিছু সমর্থক সন্ধ্যায় আমাদের এক কর্মীর ভাঙচুর চালায়।”
ধূপগুড়ি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘পুলিশ গিয়ে উত্তেজনা সামাল দেয়। তবে কোনও পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানায়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy