Advertisement
E-Paper

নজরে ভোট, জেলা কমিটি গঠনে জোর

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘দলীয় দ্বন্দ্ব’ রুখতে সমতা বজায় রেখে লকডাউনের আগে ৪২ জনের জেলা কমিটির একটি খসড়া তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৭:২৫
সহাবস্থান: জেলা বিজেপি সভাপতির সঙ্গে নীহাররঞ্জন (বাঁ দিকে বসে)। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র

সহাবস্থান: জেলা বিজেপি সভাপতির সঙ্গে নীহাররঞ্জন (বাঁ দিকে বসে)। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র

এক বছরের বেশি সময় ধরে মালদহে তৃণমূলের জেলা কমিটি নেই। লোকসভা ভোটের পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক করে দেওয়া তিন জনের কমিটি নিয়েই কাজ চলছিল। বিধানসভা ভোটের দিকে নজর রেখে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এ বার জেলা কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হল।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘দলীয় দ্বন্দ্ব’ রুখতে সমতা বজায় রেখে লকডাউনের আগে ৪২ জনের জেলা কমিটির একটি খসড়া তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার অনুমোদন না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রবিবার তৃণমূলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে ওই কমিটি রদবদল করে ছোট করে পাঠাতে বলা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় দলের কয়েক জন নেতা নুর ম্যানশনে বৈঠক করেন। ২৫ জনের একটি জেলা কমিটির খসড়া তালিকা নতুন করে তৈরি করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কমিটিতে চার জন কার্যকরী সভাপতি এবং সাত জন সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাইরে মন্তব্য করব না।’’

দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মালদহে তৃণমূল বরাবরই দলীয় দ্বন্দ্বে জেরবার। সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে বারবার দলনেত্রীকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। দলের অন্দরের কানাঘুষো, মালদহে তৃণমূলের কাঁটা তৃণমূলই। পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রকমে সাফল্য মিললেও লোকসভা ভোটে জেলায় দলের বিপর্যয় ঘটে। সে জন্য দলীয় দ্বন্দ্ব অন্যতম কারণ বলে দলের নেতাদেরই একাংশ মনে করেন।

দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে জেলার দু’টি আসনেই পরাজয়ের পরে দলের জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের কিছু দিন পরে মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী। সেই সময় মৌসম নুরকে জেলা সভাপতি করে তিন জনের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান করা হয় প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে, কার্যকরী সভাপতি কংগ্রেস থেকে দলে যোগ দেওয়া রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়কে।

কিন্তু ওই কমিটি গঠনের পরে এক বছর কেটে গেলেও নতুন করে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি আর গঠিত হয়নি। সূত্রে খবর, দ্বন্দ্বের জেরেই নতুন জেলা কমিটি গঠনের ঝুঁকি নেননি দলীয় নেতৃত্ব। তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্র ও রবিবার সন্ধ্যায় দলের কয়েক জন জেলা নেতার সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন শুভেন্দু। তিনি দ্রুত জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

Election Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy