লোকসভা ভোটের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখনও কোনও দল দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। শিলিগুড়ি, কলকাতা, দিল্লিতে চলছে নানা আলোচনা, সমঝোতার কথা। তার মধ্যেই ভোটের ‘ওয়াররুম’ তৈরি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। পদ্মফুল শিবিরের শহরের একাধিক অফিসে চালু হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত ইলেকশন সেল। তার পাল্টা হিসেবে জেলা দফতর ও পর্যটন মন্ত্রীর নিজস্ব দফতরে তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের সেল। দলীয় সূত্রের খবর, সোশাল নেটওয়ার্কিং থেকে শুরু করে প্রতিটি বুথের তথ্য, সক্রিয় নেতা-কর্মীদের টেলিফোন নম্বর, পুলিশ-প্রশাসন এবং নির্বাচন দফতরের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়, অভিযোগ জানানো, তথ্য আদানপ্রদান সবই নিয়ন্ত্রিত হবে এই ওয়াররুম থেকেই। এই বিষয়ে দুই দলের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে বাম ও কংগ্রেস।
কংগ্রেস বা সিপিএম এ বার এই কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ১১ দলের তরফে সর্বসম্মত প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তারা আলোচনা চালাচ্ছে। ফলে কোনও নির্বাচন দফতর চালু হয়নি এই দুই দলের।
তৃণমূল, বিজেপির নেতারা জানাচ্ছেন, মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সাংগঠনিক কাজ থেকে প্রার্থীর প্রচার সবেতেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ওই অফিসগুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ-সহ একাধিক ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্মার্টফোন রাখা হচ্ছে। দলের সদর দফতরের সঙ্গে নিয়মিত ইমেল, হোয়াটাসঅ্যাপে যোগাযোগ রেখে তথ্য বিশ্লেষণ করে বুথে বুথে কর্মীদের নির্দেশ পাঠানো হবে। ওই অফিসগুলির দায়িত্ব জেলা স্তরের নেতাদের দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ছাড়াও আরও দুইজন কর্মী থাকবেন।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, আমার বিধানসভা ক্ষেত্র, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে এই ধরনের অফিস সারা বছর চালু থাকে। নানা উন্নয়নের কাজের প্রকল্পের প্রচার, মানুষ অভাব অভিযোগ নথিভুক্ত করা ছাড়াও মোবাইল নম্বরের তথ্য ভান্ডার তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমার নিজস্ব আরেকটি দফতর রয়েছে। সেখানে কর্মীরা কাজ করবেন।’’
বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে। দল সূত্রের খবর, গত বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা গুছিয়ে নিয়েছেন এই লোকসভার ‘ওয়াররুম’। শিলিগুড়ি, চোপড়া, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া মিলিয়ে ২৮টি মন্ডল ভিত্তিক অফিস ছাড়াও দলীয় ‘শক্তিকেন্দ্রে’ আলাদা ‘আইটি সেল’ থাকছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ের পরিস্থিতি জেলা দফতর থেকে দেখা হবে। নর্থবেঙ্গল জোনাল অফিসে আলাদা দফতর হয়েছে। জেলা বিজেপি’র সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রার্থী ঘোষণা হলেই কাজ শুরু হবে।’’