Advertisement
E-Paper

১২ ডিগ্রিতে নামল ঠান্ডা

মেঘলা আকাশ। সোমবার রাত থেকেই টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তার হাত ধরেই জাঁকিয়ে নামল শীত। পাহাড়ে বরফ পড়ছে। উত্তুরে হাওয়ায় তাই কনকনে ভাব। বৃষ্টির জেরে এ দিন বাইরে ছাতা হাতে বেরিয়েছেন অনেকেই।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:০৫
বৃষ্টির জেরে জাঁকিয়ে শীত পড়ল। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

বৃষ্টির জেরে জাঁকিয়ে শীত পড়ল। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

মেঘলা আকাশ। সোমবার রাত থেকেই টানা ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তার হাত ধরেই জাঁকিয়ে নামল শীত। পাহাড়ে বরফ পড়ছে। উত্তুরে হাওয়ায় তাই কনকনে ভাব। বৃষ্টির জেরে এ দিন বাইরে ছাতা হাতে বেরিয়েছেন অনেকেই।
দুই দিনাজপুর এবং মালদহের মঙ্গলবার দিনভরই বৃষ্টি হয়েছে। মেঘলা আবহাওয়ায় দুপুরেই অন্ধকার নেমে আসে। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। মালদহে ৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ দিন জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তর দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ১৪ ডিগ্রিতে। রায়গঞ্জ মোহনবাটী হাইস্কুলের আবহাওয়া কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়ের দাবি, গত রবিবার থেকে তাপমাত্রা প্রায় ৭ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। নিম্নচাপের জেরে জেলা জুড়ে আকাশ মেঘলা ও একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবারের পর নিম্নচাপ কেটে আকাশ পরিষ্কার হলে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে।’’ সোমবার রাত থেকে জেলায় প্রায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ইসলামপুর, চোপড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় এ দিন দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের মাঝিহান কৃষি গবেষণাকেন্দ্র সূত্রে খবর, এ দিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ১৭.২ ডিগ্রি। বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৭.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মালদহের স্কুল শিক্ষিকা সুদেষ্ণা পোদ্দার বলেন, “গত কয়েকদিনে রাত এবং সকালের দিকে ঠান্ডা অনুভব হলেও দুপুরের দিকে গরম পরিবেশ ছিল। ফলে রাতে হাল্কা কিছু গায়ে দিয়েই কেটে যাচ্ছিল। এ দিনের পর লেপ ছাড়া চলবে না।” চাঁচলের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের অর্ধেক পেরোলেও ঠান্ডা কার্যত ছিল না। সোমবার রাতে প্রথম লেপ ব্যবহার করলাম।’’
বড়দিনের আগে ঠান্ডা পড়ায় খুশি শহরের কেক ব্যবসায়ীরাও। সুদর্শনপুর এলাকার কেক ব্যবসায়ী তারাচাঁদ পালের দাবি, বাসিন্দারা প্রচণ্ড ঠান্ডার পরিবেশে বড়দিনের উৎসবের আনন্দে মাততে চান। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বড়দিনে কেক বিক্রি জমবে বলেই মনে হচ্ছে। ইসলামপুরের এক দোকানি পাপ্পু মজুমদার বলেন, ‘‘ঠান্ডা পড়ায় অনেকেই ঘর থেকে বেরোননি। তাতে কেনাকাটা কিছুটা কমেছে।’’
তবে শীত বৃষ্টি বেশি হলে আনাজ চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ডালখোলা, গোয়ালপোখর, করণদিঘি এলাকার চাষিরা। মাঝিয়ান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার জ্যোতির্ময় কারফরমা বলেন, ‘‘বৃষ্টির ফলে রবিশস্যের চাষ ভাল হবে। কিন্তু আনাজ চাষে ক্ষতি হতে পারে।’’

Winter Weather Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy