Advertisement
E-Paper

মিরিক হাসপাতালের উন্নয়নে ২০ কোটি

ছ’বছর আগে, মিরিক মহকুমা ঘোষণা হয়। তার পরেও মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো ছিল অপ্রতুল। তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কথার্বাতা চলছিল।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৪
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

দার্জিলিং জেলার নতুন মহকুমা মিরিকের হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হল। জিটিএ সূত্রের খবর, মহকুমা মিরিক হলেও, হাসপাতালটি ব্লক হাসপাতাল স্তরেই রয়েছে। এখানে মূল সমস্যা পরিকাঠামোর। গত এক বছর ধরে এই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি বিভিন্ন স্তর থেকে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর মিরিক হাসপাতালকে ২০ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিল।

ছ’বছর আগে, মিরিক মহকুমা ঘোষণা হয়। তার পরেও মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো ছিল অপ্রতুল। তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কথার্বাতা চলছিল। গত মাসের শেষে সরকারি ভাবে মিরিক হাসপাতাল নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হয়। এ দিন তার নথিপত্র ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসেছে। বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অরুণ সিগচি বলেন, ‘‘মিরিকবাসীর জন্য রাজ্য সরকারের উপহার এটা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। দ্রুত পরিকাঠামোর কাজ শুরু হবে।’’ জিটিএ-র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপার নেতৃত্বে জিটিএ-র বিভিন্ন বি‌ভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যেরা আপাতত কলকাতায় রয়েছেন।

২০১৭ সালে মিরিককে মহকুমা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ধীরে ধীরে প্রশাসনিক স্তরে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই যায়। মাত্র ২০টি শয্যার পরিকাঠামোয় এই হাসপাতাল চলছিল। বেশির ভাগ সময়ই এলাকার বাসিন্দাদের কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি বা দার্জিলিং যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। ‘সিটি স্ক্যান’ বা ছোট অস্ত্রোপচারের জন্যও বাইরে যেতে হয়। রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের সমস্যাও। সে কারণে জিটিএ-র তরফে মিরিক হাসপাতাল নিয়ে কলকাতায় বার বার যোগাযোগ করা হচ্ছিল।

হাসপাতালের ভবনের পরিকাঠামোর জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকায় বর্তমান হাসপাতালের পিছনের অংশে বহুতল নতুন হাসপাতাল তৈরি হবে। তাতে ১০০টি শয্যা থাকবে। পুরুষ এবং মহিলা অন্তর্বিভাগ আলাদা হবে। শিশুদের জন্য ওয়ার্ড, ‘সিটি স্ক্যান’-সহ নানা পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি হবে ‘অপারেশন থিয়েটার’। এর বাইরে, গোটা হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য আলাদা করে তিন কোটিটাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই টেন্ডার-প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। জিটিএ-র প্রধান সচিব তথা জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘মিরিক হাসপাতালকে পুরোপুরি মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে কাজ শুরু হচ্ছে। সরকারি স্তরে আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিকাঠামো তৈরির সঙ্গে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কলকাতার স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে। জিটিএ-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যেরা জানান, দার্জিলিং থেকে মিরিক— সব জায়গাতেই কর্মী এবং চিকিৎসকদের অভাব রয়েছে। তা ছাড়া, দার্জিলিং, কার্শিয়াং বা কালিম্পং হাসপাতালে কিছু বিশেষজ্ঞ বিভাগও জরুরি। কারণ, বাসিন্দাদের সব সময় শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে যেতে হচ্ছে। মিরিক হাসপাতালের পরিকাঠামোর সঙ্গে সে দিকটিও দেখার জন্য বলা হয়েছে।

Mirik Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy