Advertisement
E-Paper

মুকুল-কাঁটা নিয়ে উদ্বেগ

এক সময় মকুলবাবুর হাত ধরেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছিলেন অনেক নেতাই। জেলা পরিষদ থেকে নানা গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভায় মুকুলের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৯
পোস্টার: মুকুলের নামে শুভেচ্ছা দিয়ে পোস্টার। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

পোস্টার: মুকুলের নামে শুভেচ্ছা দিয়ে পোস্টার। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন শ্রমিক নেতা নরোত্তম রায়কে বুধবার দিল্লিতে মুকুল রায়ের পাশে দেখা গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি শুভ্র রায়চৌধুরী তো আগেই নাম লিখিয়েছিলেন মুকুল শিবিরে। বুধবার বিকালের পরে নতুন করে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি বা আলিপুরদুয়ার-কোচবিহারের কোন নেতা মুকুলের দিকে ঝুঁকবেন, তা নিয়ে তৃণমূল শিবিরে চলছে জল্পনা। তাতেই মুকুল ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতারাও।

এক সময় মকুলবাবুর হাত ধরেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছিলেন অনেক নেতাই। জেলা পরিষদ থেকে নানা গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভায় মুকুলের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সমর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যিনি দলে নেই, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’’

তবে প্রকাশ্যে গুরুত্ব না দিলেও জেলায় জেলায় মুকুল ঘনিষ্ঠদের ধরে রাখতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কোচবিহারে বছর দুয়েক আগে মুকুলের নতুন দল ঘোষণা নিয়ে জল্পনা ছডায়। দিনহাটায় মনোজিৎ সাহা চৌধুরী নামে এক নেতার বাড়িতে অফিস করার কথা ছিল। মনোজিৎবাবু বলেন, “একবার অফিস খোলার জন্য মুকুলবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমি নিজে অসুস্থ। আর রাজনীতিতেও নেই।” দলের এক নেতার বক্তব্য, পঞ্চায়েত অবধি দেখে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে দু’চারজন ওই শিবিরে যেতে পারেন। দলের জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “সবাই দিদির সঙ্গেই আছেন।’’

দক্ষি‌ণ দিনাজপুরের নরোত্তমবাবু মুকুলবাবুর ছবি দিয়ে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে শারদীয়া ও দীপাবলির শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন। এ দিন তিনি জানান, আরও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে মুকুলের সম্পর্কর কথা সবার জানা। বিপ্লব এখন মূল শিবিরেই রয়েছে। ক্ষমতাসীন তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, মুকুলের দল ছাড়ায় জেলায় কোনও প্রভাব পড়বে না।

উত্তরবঙ্গ সফরে এলে মাঝে মধ্যেই জলপাইগুড়ি যেতেন মুকুল৷ মুকুল ঘনিষ্ঠ এক নেতার দাবি, এ দিন কয়েকজন নেতা মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ শুনে মুকুলপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন জেলা নেতারা৷ ময়নাগুড়ির ব্লক সভাপতি শশাঙ্ক বসুনিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘উনি কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন বলেই সম্মান করতাম৷ এখন কেউ নন।’’ আর জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী কথায়, ‘‘দলে মুকুলপন্থী বলে কিছু নেই। সবাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়পন্থী৷’’ শিলিগুড়িতে নেতা দীপক শীল বা যুব নেতা বাপি পাল মুকুল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। তবে দু’জনই দাবি করেছেন, ‘‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য কিছু ভাবার নেই।’’

২০১৫ সালে জেলায় জেলায় ঘুরেছিলেন মুকুল। এনজেপি স্টেশনে নামার পর নেতাদের দেখা না মিললেও পৌঁছে গিয়েছিল একাধিক গাড়ি। কলকাতা ফিরে যাওয়ার সময় এক নেতার বাড়ি থেকে গিয়েছিল টিফিন বক্স। তাতে খাবার ছিল, কোনটা নুন ছাড়া কোনটা নুন কম। এবার দল ছাড়ার পর টিফিন বক্সে বদলে কজন নেতারা মুকুলের দরবারে পৌঁছবেন, সেটাই এখন প্রশ্ন!

Mukul Roy Political Leader TMC মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy