কাজ: ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তুলে নেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্রচারের ফ্লেক্স। জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল
নির্বাচন ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোট ঘোষণা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনও সরকারি জায়গা থেকে যে কোনও দলের প্রচারমূলক ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু সোমবারও দেখা গেল শহরে বিভিন্ন সরকারি জায়গা থেকে সরেনি মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি। সরেনি পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ানদের মারা যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের দলীয় চিহ্ন দেওয়া পোস্টারও।
যদিও সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার খোলার কাজ শুরু করেছে মহকুমা প্রশাসন। শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের মধ্যেই টাঙানো ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া কৃষি দফতরের বিজ্ঞাপন। এ দিন বিকেলেই তা খুলে দেয় প্রশাসন। হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি দল এসেছিল এ দিন। আমরা জানিয়েছি, তাঁদের যেটা যেটা মনে হচ্ছে, তা খুলে ফেলতে পারেন।’’ তবে শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় এখনও রয়ে গিয়েছে সেরকম বেশ কিছু ছবি। তৃণমূলনেত্রীর ছবি রয়েছে ভেনাস মোড়, জলপাই মোড় সহ অনেকগুলি সরকারি জায়গায়। সেগুলো নিয়ে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই সমীক্ষা শুরু করেছে। প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ জানান, বিদ্যুৎ দফতরের খুঁটি, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের ত্রিফলা আলোর খুঁটি থেকে শুরু করে পুলিশের ট্রাফিক গার্ডের গুমটির গায়ে এখনও অনেকগুলো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ ফ্লেক্স-পোস্টার রয়ে গিয়েছে। সেগুলো খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
আদালত চত্ত্বরেও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবীদের একটি অংশের তরফে সেই ছবি লাগানো হয়েছিল অনেকদিন আগেই। কিন্তু এখনও খোলা হয়নি। বিজেপির লিগাল সেলের পক্ষে অখিল বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। বিধি যা রয়েছে, সেই মতোই কাজ হবে। খুলে ফেলা হবে।’’
নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারে সেনাবাহিনীর কোনও ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। কদিন আগেই পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে ব্লক কংগ্রেসের
তরফে ভেনাস মোড়ে লাগানো হয়েছিল ফ্লেক্স। তাতে দলীয় চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। সেই পোস্টারও খুলে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এরকম অনেক পোস্টারই রয়ে গিয়েছে
শহরে। ভোট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই পোস্টারও খুলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy