Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Murder Case

মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে তাঁর প্রেমিককে খুনের অভিযোগ কোচবিহারে! মাটি খুঁড়ে উদ্ধার দেহ

গত ২২ অক্টোবর ঘোকসাডাঙা থানার কুশিয়ারবাড়ি এলাকার যুবক ফইজুল হকের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। তদন্তে নেমে ২৮ বছরের ওই যুবকের মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।

body recover

নদীর ধার থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪১
Share: Save:

মেয়েকে অন্যত্র পাত্রস্থ করে তাঁর প্রেমিককে খুনের অভিযোগ উঠল এক পরিবারের বিরুদ্ধে। নদীর চর থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, খুনের পর সেখানেই তাঁকে পুঁতে দেন অভিযুক্তরা। কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। শনিবার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ মাটি খুঁড়ে বার করে দেহ। ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ২২ অক্টোবর ঘোকসাডাঙা থানার কুশিয়ারবাড়ি এলাকার যুবক ফইজুল হকের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। তদন্তে নেমে ২৮ বছরের ওই যুবকের মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। ‘কল লিস্ট’ খতিয়ে দেখা বেশ কয়েক’টি মোবাইল নম্বর নিয়ে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। শুরু হয় ওই নম্বরগুলোর মালিকদের খোঁজ। ওই মোবাইলের সূত্র ধরে গত ২৬ অক্টোবর রমজান আলি নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও চার সন্দেহভাজনের নাম উঠে আসে। পর পর তাঁদের গ্রেফতার করার পরই মেলে যুবকের খোঁজ। তবে মৃত অবস্থায়। মৃত ফইজুলের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে ছেলের প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবার।

ফইজুলের বাবার অভিযোগ, এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর ছেলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁদের বিয়ের কথাবার্তাও হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই অন্য এক জনের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে দিয়ে দেয় তাঁর পরিবার। তিনি বলেন, ‘‘যে মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ের কথা হয়েছিল, সে এবং তার বাবা-মা কয়েক জন যুবককে দিয়ে আমার ছেলেকে খুন করিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।

ওই ঘটনা নিয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ঘোকসাডাঙার বাসিন্দা ফইজুল গত ২০ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ফয়জুলের মোবাইল পায় পুলিশ। শেষ কল রেকর্ড দেখে পুলিশ এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তদন্তে উঠে আসে,ওই ব্যক্তি এবং তাঁর সহযোগীরা ফয়জুলকে নদীর ধারে নিয়ে যায়। সেতুর ধারে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। ওই যুবক মারা গেলে সেখানেই তাঁকে কবর দিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে যুবকের দেহ উদ্ধার করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Case Cooch Behar police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE