Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Death

মাকে বাঁচাতে নিহত ছেলে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আখিরাপাড়ায় বিপুল বর্মণ এবং প্রবীর মণ্ডলের দুই পরিবারে দীর্ঘ দিন ধরে নানা কারণে ঝগড়া লেগে ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৮:২৪
Share: Save:

প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ থেকে সংঘর্ষে মাকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হল দশম শ্রেণির এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট শহর সংলগ্ন চকভৃগু এলাকার আখিরাপাড়ার ঘটনা। নিহত ছাত্রের নাম রত্ন বর্মণ (১৭)। স্থানীয় নদীপার এনসি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার মাথায় কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বলে শুক্রবার বালুরঘাট থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বোন মাম্পি সিংহ। জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, ওই ঘটনায় ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বাকি অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আখিরাপাড়ায় বিপুল বর্মণ এবং প্রবীর মণ্ডলের দুই পরিবারে দীর্ঘ দিন ধরে নানা কারণে ঝগড়া লেগে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে রত্নর খুড়তুতো বোন মাম্পি পাড়ার দোকানে জিনিস কিনতে গেলে প্রবীরের পরিবারের লোকেরা তাকে কুকথা বলে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে বিপুলের স্ত্রী রুমা এবং প্রবীরের স্ত্রী সুচিত্রার মধ্যে একদফা বচসা হয়।

সন্ধে নাগাদ রত্নর মা রুমা পাড়ার দোকানে সামগ্রী কিনতে গেলে ফের সুচিত্রার সঙ্গে বচসা শুরু হলে বাড়ির পুরুষরা শামিল হয়ে পড়ে। ওই সময় রুমার উপরে অভিযুক্তরা চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। মাকে বাঁচাতে রত্ন ছুটে এলে প্রবীর তাকে মাথায় কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্র।

গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতা রেফার করা হয়। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

ঘটনার পর থেকে নিহত ছাত্রের মা রুমা শোকে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। দিশেহারা বিপুল জানান, মাকে বাঁচাতে গেলে অভিযুক্তরা দল বেঁধে রত্নর উপর চড়াও হয়ে খুন করেছে।

অভিযুক্তদের দৃ্ষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন অভিযুক্তদের ঘরে তালা ঝুলতে দেখা যায়। রাত থেকে তারা পলাতক বলে পড়শিরা জানান। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পিঙ্কি সরকার বলেন, ‘‘গন্ডগোল দেখে আমার স্বামী থানায় ফোন করে পুলিশকে আসতে বলেন। কিন্তু তার আগেই ওই ঘটনা ঘটে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Family Dispute Youth
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE