Advertisement
E-Paper

অনাস্থা নিয়ে জটে ভুগছেন বাসিন্দারা

অনাস্থা নিয়ে টানাপড়েনে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে। সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি গত তিন সপ্তাহ ধরে নিয়মিত জেলা পরিষদে যাচ্ছেন না কেউই। অনুপস্থিত দশজন কর্মাধ্যক্ষও। ফলে রোজ ন’টি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের নানা কাজে জেলা পরিষদে এসে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১৫

অনাস্থা নিয়ে টানাপড়েনে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে। সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি গত তিন সপ্তাহ ধরে নিয়মিত জেলা পরিষদে যাচ্ছেন না কেউই। অনুপস্থিত দশজন কর্মাধ্যক্ষও। ফলে রোজ ন’টি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের নানা কাজে জেলা পরিষদে এসে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। হয়রানির শিকার হচ্ছেন পড়ুয়ারাও। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজকর্মও। জানা গিয়েছে উন্নয়ন বাবদ আট কোটি টাকা বরাদ্দ এসে পড়ে রয়েছে জেলা পরিষদে। সিপিএমের সভাধিপতি লাডলি চৌধুরী ও আরএসপির সহকারি সভাধিপতি প্রফুল্লকুমার দেবসিংহের যুক্তি, “কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁদের অনুপস্থিতে এমনিতেই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রয়েছে। তাই আট কোটি টাকা পড়ে থাকা সত্ত্বেও জেলায় পানীয় জল, রাস্তাঘাট-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।”

জেলা পরিষদের অচলাবস্থায় ভুক্তভোগী ইটাহারের চাভোট এলাকার বাসিন্দা শেখ জইমুদ্দিনের মতো অনেকেই। তিনি বলেন,“এক সপ্তাহে তিনদিন জেলা পরিষদে গিয়ে সভাধিপতির দেখা পাইনি। কৃষি অনুদান প্রকল্পের ফর্মে সভাধিপতির সইয়ের অভাবে পাম্পসেট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।” হেমতাবাদের বাসিন্দা নরেন মণ্ডল বলেন,“আমার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত চারদিন ধরে জেলা পরিষদে এসে কোনও কর্মাধ্যক্ষকে পাচ্ছি না। ফলে কর্মাধ্যক্ষের সইয়ের অভাবে মেয়ের আর্থিক অনুদান পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”

তৃণমূল সূত্রের খবর, গত ২২ অগাস্ট চোপড়ার সিপিএম সদস্য শিবানী সিংহ, ইসলামপুরের সিপিএম সদস্য মহম্মদ হাফিজুদ্দিন, গোয়ালপোখরের সিপিএম সদস্য আলেমা নুরি, করণদিঘির সিপিএম সদস্য বিপাশা দাস সিংহ, হেমতাবাদের সিপিএম সদস্য প্রফুল্লচন্দ্র বর্মন ও হেমতাবাদের আরএসপি সদস্য মহসিনা খাতুন তৃণমূলে যোগ দিতে কলকাতায় গিয়েছেন।

জেলা পরিষদের তৃণমূলের দলনেতা গৌতম পাল বলেন, “শুক্রবার তৃণমূলের সদস্য সদস্যারা লিখিতভাবে জেলাশাসক, সভাধিপতি ও জলপাইগুড়ির ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে জেলা পরিষদের ক্ষমতাসীন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থার কথা জানিয়ে অনাস্থা বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানাবেন।” কংগ্রেসও তৃণমূলের অনাস্থায় যোগ দেবে বলে জানিয়েছে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা পূর্ণেন্দু দে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৬টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখল করে বামফ্রন্ট। সিপিএম দশটি, আরএসপি দু’টি ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি আসন পায়। কংগ্রেস আটটি ও তৃণমূল পাঁচটি আসনে জয়ী হয়। বোর্ড গঠন করা হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর। নিয়মানুযায়ী এক বছরের মধ্যে অনাস্থা আনা যায়না। বৃহস্পতিবার সেই মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্তই অপেক্ষা ছিল তৃণমূলের। এরকমটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

north dinajpur zilla parishad no confidence motion problems
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy