Advertisement
E-Paper

আইটিআই ছাত্রের মৃত্যু হস্টেলে

এক আইটিআই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভক্তিনগর থানার দুই মাইলের আইটিআই কলেজের ছাত্র আবাসনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অনির্বাণ সরকার (১৮)। তাঁর বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটির কাঁঠালপাড়া এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২২
শিলিগুড়ি হাসপাতালের সামনে মৃত ছাত্রের পরিজনেরা। —নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়ি হাসপাতালের সামনে মৃত ছাত্রের পরিজনেরা। —নিজস্ব চিত্র।

এক আইটিআই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভক্তিনগর থানার দুই মাইলের আইটিআই কলেজের ছাত্র আবাসনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অনির্বাণ সরকার (১৮)। তাঁর বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটির কাঁঠালপাড়া এলাকায়। তিনি ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ আবাসনের শৌচাগারে দরজা বন্ধ ছিল। পরে সেটির ফাঁকা দিয়ে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান মৃতের এক সহপাঠী। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে শৌচাগারের দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে।

ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ছাত্রের পরিবারের লোকজন শিলিগুড়িতে আসেন। দেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়। তবে তাঁর পরিবারের তরফে এদিন রাত অবধি কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। শিলিগুড়ির পুলিশের ডিসি অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “একটটি অস্বাভিক মৃত্যুর মমলা দায়ের হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা তা দেখা হচ্ছে।”

মৃত ছাত্রের বাবা দিলীপবাবু জানান, আমার দুই ছেলের মধ্যে অনির্বাণ ছোট। গত ৫ সেপ্টেম্বর কলেজে ভর্তি হয়েছিল। তারপরে ক্লাস শুরু হয়। সপ্তাহখানেক ক্লাস হয়ে পুজোর ছুটি হয়। ফের ১৪ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু হয়। আমিই ওঁকে পৌঁছে দিয়ে যাই। তবে ও এখানে ভাল লাগছে না বলে বাড়িতে চলে যেত চাইছিল। কেন এমন হল কিছুই বুঝতে পারছি না।

কলেজের অধ্যক্ষ পরিতোষ দাস বলেন, “ছেলেটি নতুন ভর্তি হয়েছে। তবে অন্যান্য ছাত্রদের কাছ থেকে শুনেছি চুপচাপ স্বভাবের ছিল।” ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের শিক্ষক রামকৃষ্ণ সরকার জানান, বুধবারও ছেলেটি বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্লাস করেছে। শান্ত ও মেধাবী বলেই মনে হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়েনি। কার্যত একই কথা জানিয়েছেন আবাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক প্রবীর কান্তি দাসও।

মৃতের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, অনির্বাণ বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন নিয়েই থাকত। তাঁর সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন কলেজের অন্য একটি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কৃষ্ণ রুইদাস। তিনি বলেন, “আমি মাত্র দশদিন হস্টেলে একসঙ্গে ছিলাম। নাম পরিচয় জানতাম। অণির্বাণও খুব বেশি কিছু বলেনি। ওই রাতে ঘরে ওঁর ফোন বাজছিল। পরিবারের লোকজন ফোন করছিল। কিন্তু ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করি। শৌচাগারের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করে। পরে ফাঁকা দিয়ে ঝুলন্ত দেহটি দেখি।”

iti student death siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy