কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দুই নেতার পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা, লুঠের অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “দুপক্ষের অভিযোগে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে তৃণমূলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা তথা লোকসভা ভোটের পোলিং এজেন্ট ধীরাজ নাহারকে মারধর করে লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা সুভাষ গোস্বামী, তাঁর ভাই বিকাশ, স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী রমেশ ভগত-সহ কংগ্রেসের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। ধীরাজবাবুকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে অজয় সাহা নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সুভাষবাবু, তাঁর ভাই বিকাশবাবু, কংগ্রেস কর্মী রমেশবাবু-সহ অজ্ঞাত পরিচয় কংগ্রেসের ২০ জন কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে ডালখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন।
পক্ষান্তরে, ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা ডালখোলা শহর কংগ্রেস সভাপতি সুভাষবাবুর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুভাষবাবুর অভিযোগ, তাঁর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকার বাড়িতে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মী লাঠিসোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করার টাকা ও ঘড়ি ছিনতাই করেছেন। অভিযুক্তেরা তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। চেঁচামেচিতে প্রতিবেশী মহিলারা বার হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। সুভাষবাবু ডালখোলা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ডালখোলা শহর তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি তনয় দে, ডালখোলা শহর তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ সরকার, ডালখোলা শহর যুব তৃণমূল সভাপতি মুর্শেদ আলম তৃণমূলের ১০ জন নেতা কর্মীদের নামে ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ জনের নামে ডালখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ দিকে সুভাষবাবুর বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় ডালখোলা শহরে প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিল করে কংগ্রেস। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে, আজ শনিবার ১২ ঘণ্টার ডালখোলা শহর বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। তবে ডালখোলা শহরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ককে ওই বন্ধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “তৃণমূল হেরে যাবে বুঝতে পেরে সুভাষবাবুর উপর হামলা চালিয়েছে।” তাঁর দাবি, সুভাষবাবু-সহ দলের কেউ তৃণমূলের কোনও পোলিং এজেন্টকে মারধর করে টাকা ছিনতাই করেনি। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা অভিযোগ, “নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে সুভাষবাবু তাঁর অনুগামীদের নিয়ে প্রথমে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধর করে টাকা ছিনতাই করে। দলের কোনও নেতা কর্মী সুভাষবাবুর বাড়িতে হামলা চালায়নি। সবটাই সাজানো।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy