এক মণ্ডপে তিন দুর্গা। মাঝে নারকেলের মালা ও খোসা দিয়ে তৈরি প্রতিমা। দুই পাশে মাটির প্রতিমা। একযোগে পুজো করা হবে। সেরকমই প্রস্তুতি। এই ঘটনায় উন্মাদনা তৈরি হয়েছে কোচবিহারের মাতালহাটের বড়ভিটা গ্রামে। বড়ভিটা পুরান বক্সিরহাট ইয়ুথ ক্লাব দুর্গাপুজা কমিটির উদ্যোগে ওই পুজা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চমীর দিন পুজোর উদ্বোধন করেছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। ওই দিন থেকেই মণ্ডপের সামনে শুরু হয়েছে মেলা তা দশমী পর্যন্ত চলবে।
কেন তিনটি পুজো?
তৃণমূলের এক নেতা কৃষ্ণকান্ত বর্মনের আর্জিতেই শুরু হয়েছে ওই ৩টি পুজো। বাসিন্দারা জানান, বড়ভিটা বাজারের মাঠে ২০০ বছর আগে থেকে দুর্গাপুজো হচ্ছে। সে পুজোতে বাজারের ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে গ্রামের বাসিন্দা সকলেই নানা ভাবে অংশ নেন। বড়ভিটা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণকান্তবাবু ওই পুজোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ঘটনা কৃষ্ণকান্তবাবুর ভাই বিষ্ণু বর্মন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ পান।
ভাইয়ের ওই সাফল্যে আনন্দিত হয়ে কৃষ্ণবাবু বাজারের পুজোর সঙ্গে আরেকটি দুর্গা একই মণ্ডপে বসানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাতে সবাই রাজি হয়ে যান। তখন থেকেই দুটি দুর্গা মূর্তি একসঙ্গে পূজিত হতে শুরু করে। কৃষ্ণবাবু গত বছর তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের আসনে দাঁড়িয়ে ভোটে জয়ী হন। সেই সময় তিনি আরেকটি দুর্গা মূর্তি সেখানে বসানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। গ্রামবাসীরা বাধা না দেওয়ায় গত বছর থেকে শুরু একসঙ্গে তিন দুর্গার পুজো। তিনি বলেন, “মায়ের আশীর্বাদ থাকায় সফল হয়েছি। তাই মায়ের মূর্তি গড়ে বাজারের পুজোর সঙ্গে একসঙ্গে পুজো করছি।”
ওই পুজো ঘিরে এলাকায় প্রতি বছর মেলা বসে। পাঁচ দিন ধরে মেলা চলে। উদ্যোক্তারা জানান, এবারে তিনটি প্রতিমার একটি তৈরি করা হয়েছে নারকেল দিয়ে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এক শিল্পী ওই প্রতিমা তৈরি করেছেন। বাকি দুটি প্রতিমা অবশ্য মাটির। হয়েছে মণ্ডপে। সেই মূর্তি বসে গিয়েছে। তাই পঞ্চমী থেকেই ভিড় হতে শুরু করেছে। এ ছাড়া মণ্ডপের চারদিক আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy