বাগডোগরার গোঁসাইপুরে সেলস ট্যাক্স অফিসের সামনে পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনায় আতঙ্কিত সেলস ট্যাক্স কর্মীরা বাড়তি নিরাপত্তার দাবি তুললেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তাঁরা শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের কাছে ওই আবেদন জানাবেন বলে ঠিক করেছেন। উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কর্মীরা এই ব্যাপারে আলোচনাও শুরু করেছেন। এমনকি, অন্যত্র বদলির জন্য তদ্বির করাও শুরু করেছেন দফতরের কয়েকজন কর্মী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার পর তিনদিন কেটে গেছে। এখনও অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কিত কর্মীরা।
সেলস ট্যাক্সের আধিকারিক ইমতিয়াজুর রহমান বলেন, “উপর মহলের ছাড়পত্র মিললেই শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানানো হবে।” অভিযুক্তরা পলাতক বলেই এদিনও দাবি করেছেন বাগডোগরা থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী হওয়ায় পুলিশ তাঁদের ধরছে না বলেও সেলস ট্যাক্স দফতরের কয়েকজন অফিসার অভিযোগ করেছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। কাউকে কোনও সুবিধা দেওয়ার ব্যপার নেই।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের ছাত্র নেতা আণবিক জোয়ারদার, ব্রতীন ঘোষ, উত্পল সেন ও সন্তোষ রায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মীকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তিন পুলিশকর্মীকে মারধর করে জখম করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ওই চার ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। তবে রাতেই আণবিক সহ আরও কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের একাংশ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাতে সাড়ে ১২টা নাগাদ শিলিগুড়ির দিক থেকে মোটরবাইকে বাগডোগরার দিকে যাচ্ছিল টিমসিপি নেতা আণবিক ও ব্রতীন। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক দাঁড় করানো নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ট্রাক চালকের সঙ্গে গোলমাল বাধে। তিন পুলিশ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy