রঘু ডাকাতের কায়দায় চিঠি পাঠিয়ে ডাকাতির হুমকি। এই ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ইংরেজবাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদিয়া বাধাগাছ গ্রামে। এলাকার ছ’টি অবস্থাপন্ন পরিবারকে চিঠি পাঠিয়ে ডাকাতির হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালবেলা বাড়ির দরজা খুলতেই লাল খামে মোড়া এই চিঠি পেয়ে হতভম্ভ হয়ে যান ওই পরিবারের সদস্যরা। দুপুরে ইংরেজবাজার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রামে পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
এদিন সাত সকালে ঘরের দরজা খুলে একটি খাম পড়ে থাকতে দেখেন শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আজিমুদ্দিন শেখ। খামটি খুলতেই দেখতে পান বাংলা হরফে হিন্দি ভাষায় একটি হুমকির চিঠি। বিষয়টি প্রথমে হালকা ভেবে উড়িয়ে দেন তিনি। বেলা গড়াতেই এই বিষয় নিয়ে গ্রামে আলোচনা শুনতে পান তিনি। পরে জানতে পারেন, এমন চিঠি গ্রামের আরও পাঁচটি পরিবার পেয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যুব তৃণমূলের নেতা তথা এলাকার জমি ব্যবসায়ী জুয়েল রহমান সিদ্দিকিও। চিঠি পাঠানো হয়েছে গ্রামের অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ইউনিস মোমিন, আরপিএফ কর্মী ওয়াহেদ আলি, জমি ব্যবসায়ী মহম্মদ মোজাদির রহমান, ট্রাক ব্যবসায়ী শেখ মঞ্জুর আলির বাড়িতেও।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কারণ, মাস ছয়েক আগে পাশের এলাকা মিল্কিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ডাকাতদল। আতঙ্ক ছড়াতে গ্রামে প্রচুর বোমা ফাটিয়েছিল তারা। জেলা জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। তাই হুমকি চিঠিকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, “আমি ভেবেছিলাম শুধু মাত্র আমার বাড়িতেই চিঠি এসেছে। পরে জানতে পারি আরও অনেকের বাড়িতে এমন চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বাংলা হরফে হিন্দি ভাষায় লেখা রয়েছে, ‘আমরা আসছি, সব জিনিস পত্র তৈরি করে রাখুন।’ একজনের বাড়িতে এমন চিঠি এলে হালকা ভাবে নেওয়া যায়?” এদিন থেকে গ্রামের ছেলেরা রাত জেগে গ্রাম পাহারা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউনিস মোমিন বলেন, “জেলা জুড়ে ক্রমশ ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে। ফলে, এমন চিঠি যথেষ্টই আতঙ্ক সৃষ্টি করে। প্রথমে ভেবেছিলাম কেবল মাত্র আমাদের বাড়িতেই চিঠি পড়েছে। ভেবেছিলাম গ্রামের কেউ রসিকতা করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে জানতে পারি, অনেকের বাড়িতেই হয়েছে। তাই আমরা চাই গ্রামে পুলিশ মোতায়ন করা হোক।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy