Advertisement
০২ মে ২০২৪

চা নিলামের কাজ শুরু ২৪শে জুন

চলতি মরসুমে জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র চালুর প্রস্তুতি শুরু হল। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জুন থেকে চা নিলাম শুরু হওয়ার কথা। নভেম্বর মাসে শেষ নিলামের কাজ হয় কেন্দ্রে। এর পরে চা শিল্পের ‘লিন পিরিয়ড’ শুরু হয়। নিলামের কাজ শুরুর আগে সংস্থার পক্ষ থেকে বটলিফ কারখানার মালিকদের কাছে পাতা পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৪ ০৩:১৪
Share: Save:

চলতি মরসুমে জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র চালুর প্রস্তুতি শুরু হল। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জুন থেকে চা নিলাম শুরু হওয়ার কথা। নভেম্বর মাসে শেষ নিলামের কাজ হয় কেন্দ্রে। এর পরে চা শিল্পের ‘লিন পিরিয়ড’ শুরু হয়। নিলামের কাজ শুরুর আগে সংস্থার পক্ষ থেকে বটলিফ কারখানার মালিকদের কাছে পাতা পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে। নিলাম কেন্দ্রের সচিব নিরঞ্জনকুমার বসু বলেন, “২৪ জুন থেকে নিলামকেন্দ্রে কাজ শুরু হচ্ছে। জেলার বটলিফ কারখানাগুলি এখানে সামান্য হলেও পাতা পাঠালে সংস্থাটি রক্ষা করতে অসুবিধা হবে না। কিছু সমস্যার বিষয় নিয়ে ২৭ জুন জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা আছে।” ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিলাম কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে যে সমস্যার আবর্তে কেন্দ্রটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা অস্বীকার করেননি সংস্থার সচিব। তিনি জানান, দেশের প্রতিটি চা নিলাম কেন্দ্রকে দাঁড় করানোর জন্য শুরুতে কিছু না কিছু সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি এখনও সেটা পায়নি।
নিলাম কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রেতার পাশাপাশি চায়ের যোগান কমে যাওয়ায় গত বছর নভেম্বর মাসের পরে নিলাম কেন্দ্র খোলা রাখা সম্ভব হয়নি। নিলাম কেন্দ্রের এক কর্তা জানান, সাধারণত সেপ্টেম্বর মাস থেকে চায়ের আমদানি কমে যায়। গত বছর নিলাম কেন্দ্রে পাতা আসে ১ লক্ষ ৫১৯০৮ কেজি। অক্টোবর মাসে ৭০৮৮০ কেজি এবং নভেম্বর মাসে ১০১৭২ কেজি। একই ভাবে প্রতি বছর বিক্রেতার উপস্থিতিও কমছে। ২০১২-২০১৩ সালে ৬৭ জন বিক্রেতা নিলামে অংশ নেন। পরের বছর সেটা কমে হয়েছে মাত্র ৩৩ জন। এবার কত জন ক্রেতা ও বিক্রেতা নিলামে অংশগ্রহণ করেন তাই এখন দেখার। জলপাইগুড়িতেই রয়েছে ১২০টি বটলিফ ফ্যাক্টরি। বছরে গড়ে ৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হচ্ছে। জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “ক্রেতার বেশিরভাগ থাকেন শিলিগুড়িতে। এখানে নিলাম কেন্দ্রটি দাঁড় করানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধা না থাকায় জটিলতা বেড়েছে। অনেকে নিলামে অংশগ্রহণ করার উৎসাহ দেখাচ্ছে না।” বটলিফ ফ্যাক্টরি মালিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটিয়ার বলেন, “শুরুতে ‘ভ্যাট’ ছাড়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে হয়নি। এটা হতাশার কারণ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tea auction jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE