বাইপাসের জমি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আর কোনও বৈঠক করতে চান না তাঁরা, এ বার বৈঠক করলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই করবেন। বাইপাস নিয়ে বৈঠক থেকে বয়কট করার পরদিনই এই মন্তব্য করেন রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীর ভাইপো তথা ইসলামপুরের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের আন্দোলনের সভাপতি আলতামাস চৌধুরী। তিনি বলেন, “আর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে চাই না আমরা। বাইপাসের জমির বিষয়ে এক মাস অপেক্ষা করব। এর মধ্যে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী যদি কোন বৈঠক করে আশ্বাস দেন, তা হলেই জমি ছাড়া হবে। না হলে ফের সেই জমিতে চাষ করবেন কৃষকেরা।”
কৃষি জমি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে এদিন অবশ্য আলতামাস চৌধুরীর দাবি, “এলাকাতে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাননি। বর্তমানে সেই এলাকার জমির দাম অনেক বেশি। এর ফলে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে জমি ছেড়ে দিলে সমস্যায় পড়তে হবে।” এলাকার কৃষকদের সেই ন্যায্য মূল্যের দাবি, পরিবারের এক জনের চাকরির ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক বাইপাস কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এদিন সেই নিয়েও বৈঠক করেন তাঁরা। মঙ্গলবার সেই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক। তবে এদিন কৃষি রক্ষা কমিটির কথা শোনা হচ্ছে না এই অভিযোগ করে মঙ্গলবার সূর্য সেন মঞ্চে জেলাশাসককে কালো পতাকা দেখিয়ে বৈঠক বয়কট করেন আলতামাসবাবুর নেতৃত্বে ইসলামপুরের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক বাইপাস জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। আলতামাসবাবুর দাবি, এদিন তাঁদের কোন কথাই শোনা হয়নি। তিনি বলেন, “আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এলাকার কৃষকদের জমির ন্যায্য মূল্যের বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করুক।” মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী অবশ্য এ দিন বারবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy