Advertisement
E-Paper

তৃণমূলে দ্বন্দ্বে দফতরে তালা

অঞ্চল সভাপতির নামে তোলাবাজি সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলীয় দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূলের এক দল কর্মী সমর্থক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির পদমতি-২ পঞ্চায়েতের হেলাপাকড়ি বাজারে। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি সাধারণ সভা ডেকে দুর্নীতির কথা কবুল না করা পর্যন্ত দলীয় দফতরের তালা খোলা হবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৪ ০২:০২

অঞ্চল সভাপতির নামে তোলাবাজি সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলীয় দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূলের এক দল কর্মী সমর্থক। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির পদমতি-২ পঞ্চায়েতের হেলাপাকড়ি বাজারে। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতি সাধারণ সভা ডেকে দুর্নীতির কথা কবুল না করা পর্যন্ত দলীয় দফতরের তালা খোলা হবে না।

অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পদমতি ২ অঞ্চল সভাপতি দীনবন্ধু রায় বলেন, “দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে দল ছেড়ে দেব। ভিত্তিহীন কথা বলে লাভ নেই। ওঁরা আগে প্রমাণ করুন, আমি কোথায় কী দুর্নীতি করেছি?” তাঁর অভিযোগ, বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন চক্রান্ত করে বদনাম ছড়িয়ে পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়েছেন। এই ঘটনায় অঞ্চল সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের ময়নাগুড়ি ব্লক-২ সভাপতি শশাঙ্ক বসুনিয়া। তিনি বলেন, “দলের কিছু লোকজন সাধারণ সভা ডাকার দাবি তুলেছেন। ভোট চলছে। এখন কীসের সাধারণ সভা? দলের অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে। এ সব কী হচ্ছে? কলকাতায় আছি। ফিরে খোঁজ নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

যদিও শশাঙ্কবাবু ও দীনবন্ধুবাবুর হুমকি, চ্যালেঞ্জ কোন কিছুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের পদমতি ২ অঞ্চল সম্পাদক যিশু রায় ডাকুয়া। তিনি অভিযোগ করেন, দীনবন্ধুবাবুরা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা বলে অন্যায় আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাঁর দাবি, “অঞ্চল সভাপতির কাজকর্মে বিরক্ত হয়ে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমেছেন।” যিশুর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে সিভিক পুলিশে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে এলাকার ছেলেমেয়ের কাছে মোটা টাকা দাবি করেন দলের অঞ্চল সভাপতি। সেই সঙ্গে প্রেম সংক্রান্ত বিবাদের সালিশি করার নামেও টাকা আদায়ের অভিযোগও করেছেন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুনীল বসাক বলেন, “এসব অভিযোগ নিয়ে বুধবার সভা ডাকা হয়। অঞ্চল সভাপতিকে বলা হলেও তিনি সেখানে যাননি। এর পরেই দলের কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভ দেখান। অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন।” শুক্রবার দীনবন্ধুর অনুগামীরা তালা খুলতে গেলে বাধার মুখে ফিরে যান।

conflict of tmc jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy