Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম ১০ গড়ালবাড়িতে

জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চার মহিলা সহ ১০ জন জখম হয়েছেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদরের গড়ালবাড়ির খানসাহেব পাড়ায়। আহতদের মধ্যে আট জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় একটি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। উভয় পক্ষই তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে পুলিশের কাছে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর এ দিন বলেন, “এলাকার টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০২:২৭

জমি দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চার মহিলা সহ ১০ জন জখম হয়েছেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদরের গড়ালবাড়ির খানসাহেব পাড়ায়। আহতদের মধ্যে আট জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় একটি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। উভয় পক্ষই তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করে পুলিশের কাছে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর এ দিন বলেন, “এলাকার টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।”

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের গড়ালবাড়ি অঞ্চল সভাপতি বাবলু শাহজাহান। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস এবং সিপিএমের সমর্থকরা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপরে হামলা চালায়। তিনি দাবি করেন, “গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। সিপিএমের লোকজন কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে গোলমাল পাকিয়েছে। ওঁরা জমি দখল করে বসে রয়েছেন। প্রকৃত মালিক এদিন জমির দখল নিতে গেলে ওঁরা হামলা চালায়।” অঞ্চল সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও স্থানীয় প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি অরূপ সোম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস অথবা সিপিএমের কোন ভূমিকা নেই।

তিনি বলেন, “যাঁরা মার খেয়েছেন এবং যারা মেরেছেন তাঁরা প্রত্যেকে তৃণমূলের সমর্থক।” দলীয় সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এ সব বরদাস্ত করা হবে না। প্রত্যেককে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। গড়ালবাড়ির ঘটনার খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংঘর্ষে জখম স্থানীয় দুই কৃষক অলিয়ার রহমান এবং ইয়াকুব আলির অভিযোগ, এ দিন সকালে এলাকারই বাসিন্দা আব্দুর কুদ্দুস বাইরে থেকে লোক জুটিয়ে এনে তাঁদের ছয় বিঘা জমি দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। ইয়াকুব বলেন, “আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের জন্য কুদ্দুস অনেক দিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে। দলের অঞ্চল সভাপতি ওঁকে মদত দিচ্ছেন। অথচ আমরাও তৃণমূল করি।”

আবদুল কুদ্দুসের ছেলে ফিরোজ খান অবশ্য অভিযোগ করেন, অলিয়ার এবং ইয়াকুব সিপিএমের সমর্থক। বামফ্রন্টের সময় তাঁদের ছয় বিঘা জমি ওই দুই ব্যক্তি জোর করে দখল করেন বলে অভিযোগ। রাজ্যে পালা বদলের পরে জমি ফেরত চেয়ে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা ওঁরা মানেনি। এ দিন সকালে জমি দখল নিতে গেলে আলিয়ার সিপিএম এবং কংগ্রেসের লোকজন নিয়ে আচমকা হামলা চালায় বলে ফিরোজের অভিযোগ।

tmc group clash goralbari jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy