ভাঙনে বিপন্ন গ্রাম। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ছবি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব।
বছর তিনেক আগে তোর্সার মূল গতি পথ ছিল একেবারে গ্রামের দক্ষিণে। ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা থেকে যার দূরত্ব আড়াই কিমি। গত বার বর্ষার মরসুমে তোর্সার সঙ্গে ঘরঘরিয়া ও কালজানি নদীর প্রবাহ মিশে একাকার হয়ে যায়। তার পর থেকেই তোর্সা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ‘ত্রিমুখী’ শক্তির মিলনে বদলে যাওয়া আগ্রাসী তোর্সার ভাঙনে নদীর মূল গতি পথ সরে আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫০০ বিঘা আবাদি জমি। বসত বাড়ি খুইয়েছেন ৬০টি পরিবার। অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে অস্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন। তার পরেও বাঁধ গড়া হয়নি। ফলে পাড় ভেঙে নদী আরও এগোচ্ছে। নদী ও তুফানগঞ্জের বক্সিরকুঠি গ্রামের ব্যবধান এখন দুশো মিটার। এ বার বর্ষায় নদী ফুঁসে উঠলে গোটা গ্রামটিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার কোচবিহারের দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্সিরকুঠি এলাকার পরিস্থিতি সরোজমিনে ঘুরে দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি ভাঙন রোধে দ্রুত এলাকায় ১৩০০ মিটার বাঁধ তৈরি করা না হলে বর্ষার তুফানগঞ্জের মানচিত্র থেকে গ্রামটির মুছে যাওয়ার আশঙ্কার কথা মেনে নেন। তিনি বলেন, “বাঁধ তৈরি করার জন্য দুই বছর আগে ব্রক্ষ্মপুত্র বোর্ডে পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়। কিন্তু বরাদ্দ মেলেনি। এখন যা অবস্থা তাতে অস্থায়ী ভাবে কিছু কাজ জরুরি ভিত্তিতে করা না গেলে প্রায় ৫ হাজার গ্রামবাসী বিপাকে পড়ে যাবেন। সেচ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওই কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছি।” সেচ দফতরে কোচবিহারের নির্বাহী বাস্তুকার সঞ্জীব সরকার এ দিন বলেছেন, “দ্রুত কাজ করা দরকার। বরাদ্দ মিললে অস্থায়ী ভাবে কাজ শুরু করা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy