দুই মহিলাকে গাছে বেঁধে পেটানোর ঘটনায় পাঁচ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিগৃহীত মহিলার নামে মারধর এবং তাঁর স্বামী সহ আরও ছয় জনের নামে পাল্টা ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁদের দুই প্রতিবেশী। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত অবশ্য উভয় পক্ষের কেউ গ্রেফতার হয়নি। ফালাকাটা থানার আই সি ধ্রুব প্রধান বলেছেন, “আমরা দু’পক্ষের থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।”
সপ্তাহ তিনেক আগে খাসি চুরি যাবার ঘটনা নিয়ে ফালাকাটা থানার হরিনাথপুর এলাকার গৃহবধূ মালতী বর্মণ তাঁর প্রতিবেশী পাঁচ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গত সোমবার বিকালে পুলিশ তদন্ত করতে গ্রামে যায়। পুলিশ ফিরে যাবার পর গ্রামের বেশ কিছু বধূ মালতী বর্মণ নামে ওই অভিযোগকারিনী বধূ ও তাঁর পাতানো মা উষারানি সরকারকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। দু’ঘণ্টা বাদে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার গভীর রাতে মালতী দেবী পাঁচজনের নামে থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই রাতে সবিতা বর্মণ নামে অপর একল প্রতিবেশী পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। মালতী দেবীর স্বামী সুরেশ অভিযোগ করেছেন, গ্রাম থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করার চক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবেশীদের কয়েকজন বিভিন্ন সময় তাঁদের নানা ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। মালতী দেবীর দাদা ব্রজেশ্বরের কথায়, “আমি বোনকে ওদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে মার খেয়ে বাড়ি ফিরে আসি। বোন ও অপর বৃদ্ধাকে চোখের সামনে মারধর করা হয়েছে।” দেওগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই গ্রামের সিপিএম দলের সদস্যা জামতি বর্মণের কথায়, “দু’পক্ষের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক। নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদ চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। সোমবারের ঘটনার সময় বাড়ি ছিলাম না।” অভিযুক্ত দুই মহিলাকে পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূ খনা বর্মনের কথায়, “মালতী আমার স্বামী সহ অনেকের নামে বহুবার থানায় মিথ্যা মামলা করেছে। প্রায় সময় থানায় গিয়ে যার তার নামে অভিযোগ করে আসে। তার পাতানো মা মিথ্যা মামলার সাক্ষ্য দেয়। অতিষ্ঠ হয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। আমি অবশ্য সেখানে ছিলাম না। তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের কোনও উদ্দেশ্য নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy