Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দোকানে ট্রাক, রায়গঞ্জে মৃত ২

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক রাস্তার ধারের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ঢুকে যাওয়ায় এক ব্যবসায়ী সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার বারোদুয়ারি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম ভবেশ বর্মন(৪০) ও পাপই মার্ডি(২৫)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫০
Share: Save:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক রাস্তার ধারের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ঢুকে যাওয়ায় এক ব্যবসায়ী সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার বারোদুয়ারি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম ভবেশ বর্মন(৪০) ও পাপই মার্ডি(২৫)। তাঁরা ওই এলাকারই বাসিন্দা। বারোদুয়ারি এলাকায় ভবেশবাবুর পান ও স্টেশনারি দোকান রয়েছে। পাপাইবাবু দিনমজুরির কাজ করেন। দুর্ঘটনায় চন্দন বর্মন ও সুজন কর্মকার নামে স্থানীয় আরও দুই যুবক জখম হয়েছেন। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও খালাসি পালিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ভবেশবাবু ও পাপইবাবুর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “ট্রাকটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ট্রাকের মালিক, চালক ও খালাসির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এদিন মুরগির খাবার বোঝাই ছ’চাকার ওই ট্রাকটি মালদহ থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। বারোদুয়ারি মোড় এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাঁদিকে টুটু জোয়ারদার নামে এক যুবকের মোবাইলের দোকানে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে যায়। নিজেরে দোকান ছেড়ে বেরিয়ে ভবেশবাবু সেইসময় ওই মোবাইলের দোকানে টাকা খুচরো করতে গিয়েছিলেন। পাপইবাবু গিয়েছিলেন মোবাইল ফোনে গান ভরাতে। ভবেশবাবু ও পাপাইবাব দু’জনেই ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। বাসিন্দারা তাঁদের রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পাপইবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ভবেশবাবুর মৃত্যু হয়। ভবেশবাবুর স্ত্রী এবং ছয় ও চারবছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে। ভবেশবাবুর ভাগ্নে মাখন বর্মন বলেন, সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তাঁর মামা। তাঁর মৃত্যু হওয়ায় পরিবার সমস্যায় পড়বে। অন্যদিকে,অবিবাহিত পাপইবাবুর মা, দুই ভাই ও এক দিদি রয়েছে। তাঁর ভাই শঙ্কর মার্ডি বলেন, দাদার আয়েই সংসার চলত! এখন কীভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।

পুলিশ সুপার জানান, মৃতদের পরিবারকে সরকারি আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় কী না, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

raiganj death accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE