হলদিবাড়ি বাজারে জল জমেছে। —নিজস্ব চিত্র
শনিবার সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢাকা ছিল উত্তরবঙ্গের আকাশ। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের কিছু এলাকায় সকালে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ও হয়েছে দুই জেলার কিছু এলাকায়। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ঝড়ের সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। জখম হয়েছেন ৭ জন।
শনিবার সকালে ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়কামাত এবং জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নগর বেরুবাড়ির গোয়ালডাঙা গ্রামে বাজ পড়ে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম কান্তেশ্বর বর্মণ (৫২) এবং ছানুরাম সরকার (৬৫)। দুপুরে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে একইভাবে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সহিদুল হক (৩০) ও মইনুল হক (৩৫) ও সুধাংশু দাস (৬৫) তাঁদের মধ্যে সহিদুল ও মইনুল হক তুফানগঞ্জের বালাভূত এলাকার বাসিন্দা সুধাংশু দাসের বাড়ি ওই থানার মারুগঞ্জের ভেলাকোবা এলাকায়।
এ দিন দুপুরে মাঠে কাজ করছিলেন সহিদুল। অন্যদিকে বাড়ির উঠোনে ছিলেন মইনুল। বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই দুই জনের মৃত্যু হয়। মাঠে কাজ করার সময় সুধাংশুবাবু ও তার ছেলে মহাদেব দাস বজ্রপাতে গুরুতর জখম হন তাঁদের কোচবিহারের একটি নার্সিং হোমে নিয়ে আসা হলে চিকিসকরা সুধাংশুবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোচবিহার কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা বজ্রপাতে জখম ওই মহিলাদের নাম মাকচু বিবি, অঞ্জু বিবি ও সালেমা বিবি মাকচু।
অন্য দিকে, সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় মাঠে বেঁধে রাখা ছাগল বাড়িতে আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ময়নাগুড়ির বড়কামাত গ্রামের কান্তেশ্বরবাবু। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। একইভাবে ঝড় দেখে চাষের মাঠ থেকে ঘরে ফেরার সময় বাজ পড়ে মারা যান গোয়ালডাঙা গ্রামের ছানুরামবাবু। এদিকে ঝড়বৃষ্টির সময় দু’মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘরের বারান্দায় বসেছিলেন ভাণ্ডানি গ্রামের হেমন্তি রায়। তিনি বজ্রপাতের সময় ছিটকে পড়ে যান। তাঁর কোমরে চোট লাগে। বজ্রাঘাতে জখম হন রাজারহাট গ্রামের ১৮ বছরের প্রসেনজিৎ রায় এবং ওই এলাকারই বাসিন্দা উষা রায়ও। তিনজনেই চিকিৎসাধীন।
মাত্র মিনিট কুড়ির বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যায় হলদিবাড়ি বাজারের একটি অংশ। শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ হলদিবাড়িতে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে বাজারের রাইসমিল রোডের একটি অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দুপুরের আগেই অবশ্য শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি শহরের আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। তারপর দিনভর রোদ ছিল দুই শহরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy