৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অংশ সংস্কার করার পাশাপাশি চাঁচল শহরে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মালদহের গাজলের কদুবাড়ি থেকে মাগুড়া পর্যন্ত বেহাল ১২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও চাঁচল মহকুমা সদরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের ১২০০ মিটার রাস্তা চওড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাঁচলে ওই সড়কের দুপাশের জায়গা জবরদখল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহকুমা প্রশাসনের তরফে সর্বদল বৈঠক ডেকে দবরদখল উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, “চাঁচলে জাতীয় সড়ক চওড়া করা হবে। জবরদখল উচ্ছেদ না হলে রাস্তার কাজ করা সম্ভব নয়। সেই জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈঠক ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
গাজলের কদুবাড়ি থেকে চাঁচল হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ৫৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ দেড় বছর আগে শুরু হলেও মাঝে ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হয়নি। তার মধ্যে কনুয়ায় ৫০ মিটার রাস্তা, সামসি এলাকায় ১৫০ মিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় তা বৃষ্টি হলে জলাশয়ে পরিণত হয়। আবার চাঁচল থেকে সামসি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার হলেও মাঝে এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার হয়নি। একই ভাবে মাগুড়া থেকে কদুবাড়ি পর্য়ন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬ কিলোমিটার বেহাল সড়কের মধ্যে ৮ কিলোমিটার এতটাই বেহাল যে তা বর্তমানে তা যাতায়াতের অযোগ্য বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
সড়ক দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দফতর সূত্রেই জানা যায়, কদুবাড়ি থেকে চাঁচলে চান্দুয়া দামাইপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সম্প্রসারণের জন্য ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ মিলেছে। কদুবাড়ি থেকে মাগুড়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার বেহাল সড়ক যাতায়াতের উপযোগী করে তুলতে সংস্কারের জন্য ২৬ লক্ষ টাকা আলাদা ভাবে মিলেছে। বুধবার তার টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। কনুয়ায় ৫০ মিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। সামসি সহ বাকি বেহাল অংশ দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এ দিকে চাঁচলের মধ্যে দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ও সামসির দিকে গিয়েছে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক। ওই সড়ক বর্তমানে সাড়ে ৫ মিটার চওড়া। দফতরের আধিকারিক জানান, চাঁচলের ভিতরে জাতীয় সড়ক চওড়া করা দরকার। দুপাশে জবরদখলকারীদের না সরালে সেই কাজ করা সম্ভব নয়। ফলে প্রশাসনের কাছে জাতীয় সড়কের দু’পাশ থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার চাঁচলে এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন পূর্ত দফতরের ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দফতরের (মালদহ ডিভিশন) নির্বাহী বাস্তুকার ধীমান সাহা।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চাঁচল বাসস্ট্যান্ড থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ও সামসির দিকে ৬০০ মিটার করে ১২০০ মিটার সড়ক ১০ মিটার চওড়া করা হবে। সেজন্য আজ, শুক্রবারের মধ্যে রাস্তার দু’পাশ থেকে জবরদখলকারীদের উঠে যেতে মাইকে প্রচারও করা হয়েছে। তা না হলে প্রশানের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy