Advertisement
১৮ মে ২০২৪

নেতার শেষকৃত্যে অঘোষিত বনধ, বন্ধ ছিল বাসও

পুর চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডুর মৃত্যুতে বুধবার শহরে ছিল অঘোষিত বনধ। ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে ছোট বাজারগুলিরও দোকানপাট বন্ধ ছিল। বেসরকারি পরিবহণ বন্ধ থাকায় রাস্তা ছিল ফাঁকা। এ দিন বিবেকানন্দ স্ট্রিটের মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য হয়।

মৃত পুরপ্রধান বীরেন কুণ্ডুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় কোচবিহারে।

মৃত পুরপ্রধান বীরেন কুণ্ডুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় কোচবিহারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫৯
Share: Save:

পুর চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডুর মৃত্যুতে বুধবার শহরে ছিল অঘোষিত বনধ। ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে ছোট বাজারগুলিরও দোকানপাট বন্ধ ছিল। বেসরকারি পরিবহণ বন্ধ থাকায় রাস্তা ছিল ফাঁকা। এ দিন বিবেকানন্দ স্ট্রিটের মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য হয়। সকাল থেকে কোচবিহারে অঝোরে বৃষ্টি চলতে থাকায় শ্রদ্ধা জানানোর যে পরিকল্পনা মঙ্গলবার নেওয়া হয়েছিল তাতে খানিকটা সময় বেশি লাগে।

সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পুরসভা ভবনের সামনে। বৃষ্টির মধ্যেই সেখানে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা পূর্ত দফতরের পরিসদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী, সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অনন্ত রায়, তমসের আলি, ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক নগেন রায়, দীপক সরকার, বিজেপি-র নিখিলরঞ্জন দে-সহ প্রায় সমস্ত দলের প্রতিনিধিরা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, কোচবিহার সদরের মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা ফুল দিয়ে বীরেনবাবুকে শ্রদ্ধা জানান। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “কোচবিহারের মানুষ এক কর্মবীরকে হারালেন। আর আমরা যারা তৃণমূল করি তাঁরা এক জন অভিভাবককে হারালাম।” বেলা আড়াইটে নাগাদ শবদেহ নিয়ে যাওয়া তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে। সেখান থেকে বাড়ির রাস্তা ধরেই তাঁকে শ্মশানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার কোচবিহারে পথে নামেনি বেসরকারি বাস।

দিল্লির একটি নার্সিংহোমে যকৃতের অসুখে মঙ্গলবার মৃত্যু হয় বীরেনবাবুর। ওই দিন সকালেই দিল্লি থেকে মৃতদেহ বাগডোগরায় আনা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় কোচবিহারে। সেই সময় রাস্তার দু-ধারে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে বুধবার গাড়ি বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়। পর পর দু’দিন বন্ধ ছিল অনেক বেসরকারি স্কুল। জেলা ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক সুব্রত দে বলেন, “২৪ ঘণ্টার জন্য ব্যবসায়ী সমিতি সবকিছু বন্ধ রেখেছে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “পুরসভার চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। সে কারণেই অনেকে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। মানুষের অসুবিধে আমরা কেউই চাই না। চেয়ারম্যানও কোনও দিন তা চাইতেন না। শোকের আবহেই এমনটা হয়েছে।”

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

biren kundu cooch behar bandh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE