Advertisement
E-Paper

নয়া ট্রেন নিয়ে ফের অসন্তোষ

ট্রেন অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল যাত্রীদের। ফের অবরোধের আশঙ্কায় আগেই থামিয়ে দেওয়া হল ট্রেন। তাতে ফের বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস সোমবার সকালেই হাওড়া থেকে প্রথম ছাড়ে। যদিও, ট্রেনটির স্টপেজের দাবিতে তৃণমূলের নেতৃত্বে গঙ্গারামপুর স্টেশনে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৭

ট্রেন অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল যাত্রীদের। ফের অবরোধের আশঙ্কায় আগেই থামিয়ে দেওয়া হল ট্রেন। তাতে ফের বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা।

হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস সোমবার সকালেই হাওড়া থেকে প্রথম ছাড়ে। যদিও, ট্রেনটির স্টপেজের দাবিতে তৃণমূলের নেতৃত্বে গঙ্গারামপুর স্টেশনে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। তাই বালুরঘাট থেকে হাওড়া পৌঁছতে পারেনি হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস। ফলে সোমবার নির্ধারিত সময় সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে পৌঁছয় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। এরপর ওইদিন রাত ১১টায় ট্রেনটি বালুরঘাট থেকে ছেড়ে মঙ্গলবার ভোরের বদলে বেলা ১১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয়।

মঙ্গলবার সন্ধে ৭টা নাগাদ বালুরঘাটের বদলে ট্রেনটি বুনিয়াদপুরে পৌঁছে থামিয়ে দেওয়া হয়। গঙ্গারামপুরে অবরোধের আশঙ্কায় এ দিন ট্রেনটিকে বুনিয়াদপুর থেকেই হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করানোর সিদ্ধান্তের কথা জানাতে বালুরঘাট স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রী বিক্ষোভে স্টেশনে উত্তেজনা তৈরি হয়। বালুরঘাট স্টেশনের ম্যানেজার জানান, সন্ধে নাগাদ পূর্বরেল থেকে পাওয়া বার্তায় বুনিয়াদপুর স্টেশন থেকেই হাওড়া-বালুরঘাট ট্রেনটি ছাড়বে বলে জানানো হয়। ওই ট্রেনের টিকিট কাটা বালুরঘাটের যাত্রীদের বাসে করে বুনিয়াদপুর স্টেশনে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে বালুরঘাট স্টেশন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জন্য চারটি বাসের বদলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটি বাস জোগাড় করতে পারায় ফের ক্ষোভ দেখাতে থাকেন যাত্রীরা। পরে আরও দু’টি বাস জোগাড় করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

এ দিন-ই ফের হাওড়া থেকে দুপুর ১২টায় রওনা দিয়ে বুনিয়াদপুর স্টেশনে পৌঁছতেই সন্ধ্যে সাতটা বেজে যায়। গত সোমবারের মত এ দিনও গঙ্গারামপুর স্টেশনে বিক্ষোভের আশঙ্কা করে বুনিয়াদপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি হাওড়া পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় যাত্রী বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী অভিযোগ করেন, “স্টপেজের দাবিতে প্রতীকি আন্দোলন করা যেত। কিন্তু তৃণমূল দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটি আটকে বিক্ষোভ দেখানোয় জেলার সাধারণ যাত্রীরা হয়রানির শিকার হলেন।” তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “গঙ্গারামপুরের মত পুরসভা শহরে ট্রেনের স্টপেজ না দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে। বঞ্চনার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন। ওই আন্দোলনের সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়। বাসিন্দারাই আন্দোলন করেছিলেন।”

new train service dissatisfaction balurghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy