Advertisement
E-Paper

পার্ক নিয়ে অভিযোগ জানাবে পূর্ত দফতর

অনুমতি না-নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে তাদের জায়গায় পুলিশ ট্রাফিক বুথ বানাতে মাটি ফেলে উঁচু করার কাজ শুরু করায় তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে চলেছে পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের অধীনেই রয়েছে শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৫
দার্জিলিং মোড়ে বির্তকিত সেই জমি।—নিজস্ব চিত্র।

দার্জিলিং মোড়ে বির্তকিত সেই জমি।—নিজস্ব চিত্র।

অনুমতি না-নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে তাদের জায়গায় পুলিশ ট্রাফিক বুথ বানাতে মাটি ফেলে উঁচু করার কাজ শুরু করায় তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে চলেছে পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের অধীনেই রয়েছে শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কটি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তথা পূর্ত দফতরের তরফে পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়ে কেন ওই জায়গায় বিনা অনুমতিতে ট্রাাফিক বুথ বানানো হচ্ছে তা জানতে চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই জায়গায় ট্রাফিক বুথ না বানিয়ে সবুজ রক্ষা করতে পার্ক করে সৌন্দর্যায়নের দাবি তুলেছেন প্রাক্তন মেয়র, ডেপুটি মেয়ররা।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফেই জানানো হয়েছে অনুমতি না-নিয়ে এ ভাবে তাদের জায়গায় কোনও কিছু প্রকল্প তৈরির যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা এক কথায় জবর দখল করা। অনুমতি নিয়ে কেউ কিছু করতেই পারেন, তা নিয়ে বলারও কিছু থাকে না। রাজ্য পূর্ত দফতরের মুখ্য বাস্তুকার শক্তিব্রত বসু বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়িতে দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র রয়েছেন। তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাবেন। সেই মতো ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।” শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ৯ নম্বর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নির্মল মণ্ডল। তিনি বলেন, “পুলিশ যেখানে ট্রাফিক বুথ বানাচ্ছে ওই জায়গা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। তা কোনও সংস্থা বা কেউ বিজ্ঞাপন বসানো বা কোনও কাজের জন্য চাইলে নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয়। সেই মতো সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে অনেক সময় জায়গা লিজ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে পুলিশের তরফে আমাদের কাছে কোনও আবেদন করা হয়নি। তাই পুলিশকে চিঠি দিয়ে কেন তারা বিনা অনুমতিতে ওই কাজ করছেন তা জানতে চাওয়া হবে।”

মাল্লাগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই জায়গায় সপ্তাহখানেক আগে থেকে মাটি ফেলে ভরাট করার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। পুরসভার তরফে ওই জায়গায় সৌন্দর্যায়নের কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে একটি ছোট পার্কের মতো জায়গায় বড় গাছপালাও রয়েছে। জাতীয় সড়কের ওই জায়গায় ট্রাফিক বুথ বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও কারও অনুমতি যে নেওয়া হয়নি তা স্বীকার করেছেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জগ মোহন-ও। তিনি বলেন, “আমরা কারও অনুমতি নিইনি। কিন্তু আমরা কোনও খারাপ কাজ-ও করছি না। মানুষের স্বার্থেই এই কাজ হবে। এলাকাটি সন্ধ্যের পরে অন্ধকার হয়ে থাকে। এলাকায় দু’জন পুলিশ বসার মতো জায়গা করা হচ্ছে। তাতে মানুষ যাতায়াতে সাহস পাবে। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনও আপত্তি তোলেনি। তারা আপত্তি করলে অনুমতি নিয়ে নেব।”

যেখানে ওই ট্রাফিক বুথ হচ্ছে তার আগে, দার্জিলিং মোড় থেকে শহরে ঢোকার রাস্তাটি দুটি ভাগ হয়েছে। একটি রাস্তা জাতীয় সড়ক হয়ে চম্পাসারির দিকে গিয়েছে। অপরটি ঢালু হয়ে নিচের দিকে নেমে মোড় ঘুরে আন্ডার পাস হয়ে জাতীয় সড়কের নিচ দিয়ে শহরে প্রবেশ করেছে। আন্ডার পাসের কাছে দুটি রাস্তার মাঝে পার্কের মতো ওই জায়গাটিতে মাটি ফেলে উঁচু করে ট্রাফিক বুথ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

শিলিগুড়ির পুরসভার প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছিলেন ওই জায়গায় তাঁরা সৌন্দর্যায়ন করতে প্রকল্প নিয়েছিলেন। একই সুরে সে কথা জানান, প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা এসজেডিএ’র সদস্য নান্টু পাল। তিনি বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ওই জায়গায় ট্রাফিক বুথ বানানোর জন্য মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। ওই কাজ ঠিক হচ্ছে না বলে মনে করি। শহরের ওই জায়গায় আমি সৌন্দর্যায়নের কাজ করতে চেয়েছিলাম। শহরের ঢোকার মুখে ওই জায়গা সাজিয়ে তুললেই ভাল লাগবে। ট্রাফিক বুথ অন্যত্র হতে পারে।” অপর প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা বর্তমানে বিজেপি নেত্রী সবিতা অগ্রবাল জানান, শহরে এমনিতেই পার্ক কমছে। সবুজ বাঁচানোর বিষয়টি ট্রাফিক বুথ বানানোর চেয়ে বেশিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

national highway mallaguri works deparment siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy