জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে সিপিএম এবং কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যরা ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন। তাঁদের অভিযোগ, উত্তেজনার সৃষ্টি করে তলবি সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সোমবার ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও শ্রদ্ধা সুব্বা বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যরা তলবি সভার দিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। ওঁদের বলেছি, নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা তলবি সভার দিন থাকবে।”
২৫ আসনের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের দখলে রয়েছে ১০টি আসন, তৃণমূলের ৯টি, কংগ্রেসের ৫টি এবং বিজেপির দখলে ১টি আসন। ভোটের পরে কংগ্রে এবং তৃণমূল জোট করে পঞ্চায়েত গঠন করে। কিন্তু পাঁচজন কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে চারজন সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে মিলে গত ১৩ নভেম্বর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। আগামী ২৬ নভেম্বর তলবি সভার দিন ঠিক হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সানন্দকুমার সরকার বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা যেন তলবি সভায় হাজির হতে না পারে সেই চেষ্টা করছে।” কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “দুর্নীতি এবং দলবাজির জন্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। বিরোধীরা যাতে সভায় হাজির হতে না পারে সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে।” যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রাহেনা খাতুন। তিনি বলেন, “হুমকি দেতে যাব কেন! গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তলবি সভা হবে।” যুব তৃণমূলের পাহাড়পুর অঞ্চল সভাপতি লুতফর রহমান বলেন, “বিরোধীরাই কুৎসা রটিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy