Advertisement
E-Paper

প্রশাসনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ অটো চালকরা

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনীত যাদবের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ সিটি অটোর চালক ও মালিকদের সংগঠন বিভাগীয় কমিশনার ও পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করল। মঙ্গলবার কার্শিয়াং সার্কিট হাউসে পরিবহণ দফতরের বৈঠকে চিঠি দিয়ে ডেকেও সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৪ ০২:২৭

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনীত যাদবের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ সিটি অটোর চালক ও মালিকদের সংগঠন বিভাগীয় কমিশনার ও পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করল। মঙ্গলবার কার্শিয়াং সার্কিট হাউসে পরিবহণ দফতরের বৈঠকে চিঠি দিয়ে ডেকেও সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই কয়েক মাস আগে জেলাশাসকের দ্বারা একই ভাবে অপমানিত হওয়ার অভিযোগ ফের সামনে এনে সরব হন বন-জন শ্রমজীবী মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা জানান, জেলা স্তরে অভিযোগ জানিয়ে কাজ হয়নি বলে তাঁরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হলে ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। যদিও জেলাশাসক কোনও ক্ষেত্রেই কাউকে অপমানিত করা হয়নি বলে দাবি করেন। জেলাশাসক বলেন, “অপমানের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।”

সিটি অটো ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক নির্মল সরকার জানান, তাঁদের অপমান করা হয়। তাঁর অভিযোগ “শিলিগুড়ির বাইরের এক শ্রেণির দালাল চক্রকে মদত দিতে প্রশাসন কাজ করছে। সে কারণেই আমাদের অপমান ও হেনস্থা করা হয়। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাব।” যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, “ওই সব সংগঠন একচেটিয়া ব্যবসা করতে চাইছে। মানুষের স্বার্থেই মানষকে তাঁদের যাতায়াতের একাধিক বিকল্প দিতে হবে।”

তাঁদের যখন হেনস্থা করা হয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা পরিবহণ বোর্ডের সদস্য মদন ভট্টাচার্যও। তিনিও প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ করা হয়। মদনবাবুও ওই সংগঠনগুলিকে ডাকা হয়নি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কাউকে অপমান করা হয়েছে বলে আমি জানি না। তাঁদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। সে জন্য তাঁদের বাইরে যেতে বলা হয়।”

বন জন শ্রমজীবী মঞ্চের সদস্যরা জানান, গত জানুয়ারি মাসে দার্জিলিং জেলায় ১৫০ টির বেশি বনবস্তিবাসীরা তাঁদের উন্নয়নের টাকা ঠিকমত পাচ্ছে না, এই অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া সহ মারধরের ও জেলে ভরার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শ্রমজীবী মঞ্চের। আহ্বায়ক লালসিংহ ভুজেলের অভিযোগ, “কিছু দাবি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে যাই। উনি তা শোনেনইনি, বরং আমাদের ‘জেলে পোরা হবে’, ‘বেরিয়ে যান’ জাতীয় কথাও বলা হয়। আমরা এ বিষয়ে আগেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থেকে বনমন্ত্রী সহ সরকারি দফতরে অভিযোগ জানাই। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” শ্রমজীবী মঞ্চের বক্তব্য, কেন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে তদন্তের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। এই দিন জেলাশাসক অবশ্য শ্রমজীবী মঞ্চের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা আমার অন্তত মনে নেই। এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।”

auto driver siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy