বাম বোর্ডের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে দিল তৃণমূল। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর রশিদাবাদ পঞ্চায়েতে সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। দফতর খোলার আগেই এক তৃণমূল সদস্যার নেতৃত্বে বাসিন্দাদের একাংশ সেখানে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, চণ্ডীপুর সংসদে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জেতায় সেখানে উন্নয়নের কোন কাজ হচ্ছে না। এমনকী বাৎসরিক বুথভিত্তিক কাজের পরিকল্পনায় কোনও কাজ বরাদ্দ করেনি বামফ্রন্ট পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ড। শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত। কর্মীদের কেউই এ দিন পঞ্চায়েতের দফতরে ঢুকতে পারেননি। দুপুরে এলাকায় যান পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের হস্তক্ষেপে বিকাল ৪টে নাগাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের তালা খোলানো হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও বিপ্লব কুমার রায় বলেন, “চণ্ডীপুর সংসদের শ্রমিকেরা অন্যত্র গিয়ে কাজ করতে চাইছেন না বলে সমস্যা হয়েছে। ওই সংসদে বাৎসরিক পরিকল্পনায় কোনও কাজ ধরা হয়েছে কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” ১৪ আসনের ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বামেদের ১০, কংগ্রেসের ৩ ও তৃণমূলের ১টি আসন। চণ্ডীপুরের আসনে জয়ী হন তৃণমূলের শাম্মি আখতার। তিনি এ দিন বলেন, “কাজ না পেয়ে শ্রমিক সহ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আমরা ওঁদের সঙ্গে ছিলাম।” তৃণমূল কংগ্রেসর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান ফব-র সন্ধ্যা রায় ও উপ প্রধান সিপিএমের আলাউদ্দিন আহমেদ একযোগে দাবি করেছেন, কোনও সংসদে কাজ হবে না এটা হতে পারে না। তাঁদের অভিযোগ, “ওঁরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এ সব করাচ্ছেন। ১০০ দিনের প্রকল্পে ওই সংসদে কাজ দেওয়া হয়েছে। ওরা তা না করে অন্য প্রকল্প চাইছে। তেমন হলে পঞ্চায়েত বসে আলোচনা করা যেত। তা না করে ওঁরা পঞ্চায়েত তালা ঝুলিয়ে দিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy