অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও প্রধান ও গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিকদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি জানিয়ে নিম্ন বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। একশো দিনের কাজে অনিময়ের অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে। একশো দিনের কাজে ২৮ লক্ষ টাকার অনিয়মের অভিযোগে গত জুন মাসে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কংগ্রেসি উপপ্রধানের সই জাল করে প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও শাসক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এ দিন দুপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতর ঘেরাও করে মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখায়। দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবিতে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তাঁরা।
নকশালবাড়ির বিডিও কিংশুক মাইতি বলেন, “যে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত নথি জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। আইন মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ হবে। পরিষেবা সংক্রান্ত অনান্য বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে।”
একসময়ে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট গ্রাম পঞ্চায়েত চালালেও, পরবর্তীতে জোট ভেঙে যাওয়ার পরে তৃণমূলই বোর্ডের নিয়ন্ত্রক হয়ে যায়। যদিও, সংরক্ষিত উপপ্রধান পদের জন্য যোগ্য সদস্য না থাকায়, পদটি কংগ্রেসের দখলেই থেকে যায়। সে কারণে উপ প্রধানকে এড়িয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হত বলে কংগ্রেসের দাবি। মহিলা কংগ্রেসের বাগডোগরা অঞ্চল কমিটির সভানেত্রী কাঞ্চন কুশবাহা বলেন, “উপ প্রধানের সই জাল করে একশো দিনের কাজের টাকা তোলা হয়েছে। এর তথ্য প্রমাণ থাকলেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। এমন প্রবণতা আদপে অনিয়মকেই উস্কানি দিচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”
অনিয়ম সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছে কংগ্রেস। এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ চলতে তাকলেও এলাকা থেকে শুয়োর সরাতে গ্রাম পঞ্চায়েত কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে কংগ্রেসের দাবি। এলাকার পথবাতির সিংহভাগই বেহাল হয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর ফরে বাসিন্দাদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনিই অসামাজিক কাজকর্মও বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ। এলাকার বিপিএল তালিকাভুক্তরা কেন সুলভ মূল্যের শৌচাগার পাননি সে জবাবও স্মারকলিপিতে জানতে চেয়েছে কংগ্রেস। গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান চন্দ্রাবলী ঘোষ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এ দিন তিনি বলেন, “বোর্ডের কার্যকাল শেষ হয়েছে। বিডিও দায়িত্বে রয়েছেন। আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।”